দেশ জুড়ে ‘অপারেশন মেঘ-চক্র’ সিবিআইয়ের, এবার কি বন্ধ হবে শিশু পর্নগ্রাফি

0
39
cbi

নিউ দিল্লিঃ শনিবার দেশের মোট ২০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি ঠিকানায় ‘অপারেশন মেঘ-চক্র’ শুরু করল সিবিআই (CBI)। ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির দৌরাত্ম্য রুখতে অভিযান সিবিআইয়ের। যার সাংস্কৃতিক নাম ‘অপারেশন মেঘ-চক্র’।

অনলাইনে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। মাঝে মধ্যে ব্যাপক ধরপাকড় চলে বিভিন্ন এলাকায়। গ্রেফতারও করা হয়। উঠে আসে রথীমহারথীর নাম। সূত্রের খবর অনলাইন শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার হানাদারি শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাইবার নজরদারি চালিয়ে একাধিক মোবাইল নম্বরে শিশু পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা এবং ছড়ানোর তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বিভিন্ন কম্পিউটারে শিশু পর্নোগ্রাফি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও মেলে। তারই ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গড়েছিল সিবিআই (CBI)। ‘শিশু যৌন নিগ্রহ এবং যৌন শোষণ বিরোধী’ এই সেলের কাজ হল ইন্টারনেটে নজরদারির মাধ্যমে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনা চিহ্নিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। কিন্তু ধারাবাহিক নজরদারি সত্ত্বেও শিশু পর্নোগ্রাফি-চক্রকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ।

- Advertisement -

শিশু নির্যাতন এবং শিশু পর্নগ্রাফি একটা সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব তা এখনও আলোচ্য। সম্প্রতি ৩৭৭টি পর্নগ্রাফি সাইট এবং ৫০টি এফআইআর করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এই ধরনের ঘটনা আগেও হতো। শুধু পদ্ধতিটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে যাঁরা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজের টোপ বা ভালো জায়গায় বিয়ের টোপ দিয়ে স্যাক্সুয়াল ব়্যাকেটে ইনভলভ করত। এখন মোবাইলের দাম অত্যন্ত কমে যাওয়ায় তা সহজেই হাতে চলে আসছে । মোবাইল এবং ইন্টারনেট এসে যাওয়ায় বিভিন্ন ম্যারেজ সাইট বা সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে অটোমেটিক টার্গেট পিপিলসদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। কিছু সাধারণ বিষয়ে সচেতন হলে শিশু পর্নগ্রাফি অনেকটাই রোখা সম্ভব। প্রথম দরকার সচেতনতা। বাবা-মা’কে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ১৮ বছরের আগে সন্তানদের হাতে মোবাইল না দেওয়াই ভালো। গুড টাচ, ব্যাড টাচ কী সেটা বোঝাতে হবে অভিভাবকদের। সমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনা গল্পের ছলে ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। আইন কী? অপরাধী হলে কী হতে পারে তা জানাতে হবে