তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড মায়ানমার, মৃত ৬, আহত ৭০০ বেশি মানুষ

0
71

খাস ডেস্ক: ১৯৮২ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে গড়ে ওঠা দ্বিতীয় সবচেয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকাকে। এই ঘূর্ণিঝড় রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সিটওয়ে টাউনশিপের কাছে আছড়ে পড়ে। মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । বাড়ির ছাদ ভেঙে প্রায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ঘূর্ণিঝড় মোকা মায়ানমারে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। প্রভাব এতটা বেশি ছিল যে রাস্তাগুলিকে নদীতে রূপান্তরিত করেছে, গাছ উপড়ে ফেলেছে এবং মায়ানমারের বন্দর শহর সিটওয়েকে প্লাবিত করেছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৭০০ জন আহত হয়েছেন।  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রবল বাতাসেের জেরে এলাকাজুড়ে থাকা ২০ হাজার মানুষের মধ্যে  ৭০০ জনের  বেশি  মানুষ আহত হয়েছেন।  ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২০৯ কিমি প্রতি  ঘন্টা। বেশ কয়েকটি শহরের ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোন টাওয়ার, নৌকা এবং ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

- Advertisement -

আবহাওয়া দফতর তার সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোচা  মায়ানমারের উপর দিয়ে  যাওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়া শক্তিশালী ঝড় থেকে  বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষকে মায়ানমারের মঠ  এবং স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝড় আঘাত হানার পর মায়ানমারের যে ছবি সামনে এসেছে তা সত্যিই খুব করুণ। প্রায় দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়   হতে পারে মোকা এমনটাই খবর দিয়ে সতর্ক করেন আবহাওয়াবিদরা। পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি সতর্কতা জারি করা  হয়েছিল এবং বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়। তবে বাংলায় কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।