ঠোঁট নয়, পেটের দায়ে নাক দিয়ে বাঁশি বাজান এই তরুণ

0
22

সুদেষ্ণা মণ্ডল, সোনারপুর: টিভির পর্দায় রিয়েলিটি শোয়ে দেশের নানান প্রতিভাবানদের উঠে আসতে দেখা যায়। দেশের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে এমন সব হাজারও প্রতিভাবান, যারা অধিকাংশই থেকে যান পর্দার আড়ালে। সবার ভাগ্য তো আর কাঁচা বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের মত হয় না! এমনই এক প্রতিভাবান যুবকের খোঁজ মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়তে। যিনি নিজের পেট চালানোর জন্য মুখের বদলে নাক দিয়ে বাঁশি বাজান!

হ্যাঁ, নাক দিয়ে বাঁশি বাজানো কষ্টকর এবং বিরল কৃতিত্ব হলেও ওই তরুণ তার প্রতিভার মাধ্যমে সমস্ত কিছু আয়ত্ত করে নিয়েছেন। অদ্ভুত পদ্ধতিতে বাঁশি বাজান চিত্তরঞ্জন শিকদার। সোনারপুর থানা এলাকার মুকুন্দপুরের দাসপাড়ার বছর তিরিশের এই যুবক নাক দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। একের পর এক গানের সুর বেজে চলেছে তাঁর বাঁশিতে। তাঁর নেশা বাঁশি বাজানো, আর এভাবে বাঁশি বাজানোকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

- Advertisement -

বিগত ১৮ বছর ধরে এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করেন চিত্তরঞ্জন। কেন? বলছিলেন, ছোটবেলায় বাবা মারা গিয়েছেন। সাত বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ায় পর থেকেই বাঁশি নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ি৷ মা ও পাঁচ ভাই বোনদের মুখে ভাত তুলে দিতে রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাজাতেন বাঁশি৷ সেই শুরু৷ এভাবেই কবে যেন নেশাটা পেশা হয়ে যায়৷ বর্তমানে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়ে তাঁর সংসার।

শিয়ালদহ দক্ষিন শাখার ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং অথবা বারুইপুর লোকালে মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে চিত্তরঞ্জনের। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লোকাল ট্রেনের কামরায় মাঝে মধ্যেই শোনা যায় তাঁর বাঁশির সুর। নিত্যযাত্রীদের অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ বাঁশিওয়ালা চিত্তরঞ্জন। না, শুধু বাঁশির সুরে যাত্রীদের মুগ্ধ করার জন্য নয়, বছর তিরিশের এই যুবক সবার নজর কেড়ে নেন অন্য কারণে। মুখ দিয়ে নয়, চিত্তরঞ্জন বাঁশি বাজান নাক দিয়ে। ট্রেন যাত্রীরা তাঁর এই প্রতিভা দেখে মুগ্ধ। তাঁরাও চান, ভাইরাল হোক চিত্তরঞ্জনের এই প্রতিভা।

আরও পড়ুন: কয়লা, গরুর পর এবার সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাত চুরির অভিযোগ

আরও পড়ুন:  সরকারি হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট, অন্য পদক্ষেপ পথের পাঁচালীর