এটিকে মোহনবাগানের সাথে কি এবার বেটিং ফাঁদে পড়ল ইস্টবেঙ্গলও

0
25

সব্যসাচী ঘোষ : বেশ কয়েক দিন আগে এক্সট্রা টাইম বাংলা খবর করেছিল, বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএর বেটিং চক্রে জড়ানোর। আন্তর্জাতিক বেটিং সংস্থা দাফাবেটসের আর এক সংস্থা দাফানিউসকে স্পনসর হিসেবে এনেছিল আইএফএ। কিন্তু পরে সেই সংস্থাকে স্পনসর থেকে সরিয়ে নেয় আইএফএ।

কিন্তু প্রশ্ন এসেই যায়, বাংলার ফুটবলে কি ক্রমশই বেটিংয়ের কালো ছায়া ঘনিয়ে আসছে? চলুন দেখে নিই।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: জুতো পড়ে দূর্গা মায়ের মূর্তির সামনে ইস্টবেঙ্গল কোচ-ফুটবলাররা!

এটিকে মোহনবাগানের প্রিন্সিপাল স্পনসর হিসেবে শুরুতে ছিল এসবিওটপ, আর বর্তমানে রয়েছে পারিম্যাচ নিউস। এদিকে বৃহস্পতিবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের নতুন প্রিন্সিপাল স্পনসর হিসেবে আসে ওয়ানএক্স ব্যাট সংস্থার নাম।

কিন্তু এই তিনটি স্পনসরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তিনটিই আন্তর্জাতিক বেটিং সংস্থার সাবসিডিয়ারি একটি সংস্থা। এসবিওটপ খোদ নিজেই একটি বেটিং সংস্থা, এরপর পারিম্যাচ নিউস হল পারিম্যাচ বেটিং সংস্থার এক অংশ। এবং ওয়ানএক্স ব্যাট হল ওয়ানএক্স সংস্থার একটি অংশ, যার অন্য একটি অংশ হল ওয়ানএক্স বেট নামক এক বেটিং সংস্থার।

এবং এই তিন সংস্থাই খেলার খবর প্রদান করার জন্য নির্মিত। যদিও ক্রীড়ার খবরের ওয়েবসাইট হিসেবে এসবিওটপ, পারিম্যাচ নিউস ও ওয়ানএক্স ব্যাট, তিনটিরই কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এবং স্রেফ ভারতীয় সংবিধান থেকে বাঁচতে এই সংস্থার আগমণ।

কিন্তু এই বেটিং সংস্থাগুলির এভাবে বাংলা তথা ভারতবর্ষের দুই ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলির জার্সির বুকে জ্বলজ্বল করে ওঠা, সেটি কি কোথাও অশনি সংকেত ডেকে আনছে না তো? যে খেলোয়াড়দের দেখে বাংলার যুবরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে, তাদেরই বুকে উঠে আসছে এই বেটিং সংস্থার বিজ্ঞাপন, এ সত্যিই বড়সড় প্রশ্ন তুলে আনছে সকলের মনে।