Shraddha Murder Case: আগেও নির্যাতন চালিয়েছে Aftab, প্রকাশ্যে WhatsApp Chat

0
147
shraddha murder

নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা হত্যা মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আফতাবকে। একের পর এক তথ্য সামনে আসছে শ্রদ্ধা ও আফতাবের সম্পর্কের বিষয়ে। প্রথমবার নয়, এর আগেও শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করে আফতাব। দুজনের মধ্যে বচসার জেরে অশান্তি চরমে ওঠে চলতি বছরের ১৮ মে। আর এরপরেই আফতাব শ্বাসরোধ করে খুন করে শ্রদ্ধাকে। জানা গিয়েছে, আফতাব নির্যাতন চালাত শ্রদ্ধার ওপরে। এরকমই কিছু WhatsApp এর চ্যাট সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন Shraddha Murder Case: আগেও শ্রদ্ধাকে খুনের চেষ্টা, মাদকাসক্ত ছিল আফতাব

- Advertisement -

২০২০ সালের কিছু WhatsApp চ্যাট সামনে এসেছে, যা দেখে সন্দেহ জাগছে। মনে করা হচ্ছে, আগেও আফতাব শারীরিক নির্যাতন করত শ্রদ্ধাকে। ওই চ্যাট থেকে দেখা যাচ্ছে, শ্রদ্ধা তার অফিসে জানিয়েছে ‘কালকের মারধরের পরে আমার রক্তচাপ কম এবং গায়ে ব্যথা, তাই আজ হয়ত অফিসে যেতে পারব না’। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে এই চ্যাটটি পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুসারে, শ্রদ্ধা পিঠে ব্যথা, গলায় ব্যথা এবং Lower Limb এ ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।

২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মাসের একটি চ্যাট সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্রদ্ধা যেখানে থাকে তা থেকে বেরোনোর কথাও বলেছে সে। এমনকি পুলিশ স্টেশনে ও মহিলা মণ্ডলে যাওয়ার কথাও বলেছে শ্রদ্ধা। পাশাপাশি নিজের একটি বিকৃত মুখের ছবিও সে পাঠিয়েছে। যেখানে আঘাতের চিহ্ন স্পষতভাবে দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন Shraddha Murder Case: আফতাবের অফিস চত্বর থেকে উদ্ধার পলিথিনের ব্যাগ

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করেছিল আফতাব (Aftab) গডউইন নামের শ্রদ্ধার এক বন্ধু একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করেছিল। শ্রদ্ধা আফতাবকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও ২০২০ সালে বারবার আফতাব তাকে ফোন করতে থাকে। এমনকি ভয়েস নোট পাঠিয়ে হুমকি পর্যন্ত দিতে থাকে। সেই সময়ে শ্রদ্ধাকে হুমকি দিয়ে আফতাব বলে, যদি সে না ফেরে তবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে আফতাব। আত্মহত্যার হুমকি পাওয়ার পরে ফের শ্রদ্ধা আফতাবের কাছে ফিরে যায়।

গডউইন আরও জানিয়েছেন, প্রথমের দিকে আফতাব শ্রদ্ধাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে শ্রদ্ধা জানতে পারে আফতাব রীতিমতো মাদকাসক্ত। তবে আফতাবের মা বাবা বারবার শ্রদ্ধাকে বলতেন যে, যদি আফতাবকে সে বিয়ে করে তবে আফতাব আগামীতে ভালো মানুষ হয়ে যাবে। শ্রদ্ধা গডউইনকে জানিয়েছিল, প্রতি সপ্তাহের শেষে মাদক নিত আফতাব। এমনকি মাদকদ্রব্য বানিয়ে সে বিক্রি করত এবং ফ্রিজে সেগুলি সংরক্ষন করে রাখত। এমনকি তিনি আরও দাবি করেছেন যে, রাতের বেলায় মাদকদ্রব্য বিক্রি করত আফতাব।

আরও পড়ুন Shraddha Murder Case: আগেও শ্রদ্ধাকে খুনের চেষ্টা, মাদকাসক্ত ছিল আফতাব

শুক্রবার দিল্লি পুলিশ গুরুগ্রামের DLF Phase 2 এ তল্লাশি চালায় একটি ফাঁকা প্লটে। সেখানেই আফতাব আমিন পুণাওয়ালা (Aftab amin Poonawala) কাজ করত। Cvent India তে কর্মরত ছিল আফতাব। তবে বিনা অনুমতিতে ১ সপ্তাহের জন্য ছুটি নেওয়ার পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সন্দেহ করেছিল অফিসে যাওয়ার সময়ে এই ফাঁকা জায়গাতেই শ্রদ্ধার ৩৫টি টুকরো করা মৃতদেহের কিছু অংশ এখানেই ফেলেছিল। সেই মতো তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু প্রমাণ হেফাজতে নিয়েছে। সেগুলি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৮ মে গৃহস্থ কিছু ইস্যু নিয়ে শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। এরপরেই এদিন শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একে একে কিভাবে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে নতুন কেনা ৩০০ লিটারের ফ্রিজে রাখে তা জানায় আফতাব। কাছের জঙ্গলে ওই দেহের টুকরোগুলি একে একে ফেলার পরিকল্পনাও করে সে, যাতে কারোর সন্দেহ না হয়। কিন্তু আদতে আফতাব কতটা সত্যি বলছে তা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্বে দিল্লি পুলিশ। তাই আসলে সত্যি বলছে নাকি তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে আফতাব তা জানতে নার্কো টেস্ট করতে চাইছে পুলিশ। আফতাবের বয়ান অনুসারে, প্রথমে শ্রদ্ধার যকৃৎ ও অন্ত্র ফেলে দেয় সে। সেখানে ফ্রিজে তাঁর মাথা রেখে দেয় বেশ কিছু সময়ের জন্য। এখনও পুলিশ শ্রদ্ধার মাথার খুলির খোঁজ পায়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন Shraddha murder case: কোন দোকান থেকে অস্ত্র কিনে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো করেছিল আফতাব, তদন্তে পুলিশ

১৮ মে রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঝামেলা চলাকালীন শ্রদ্ধার শ্বাসরোধ করে আফতাব। পরের দিন একটি ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কেনে আফতাব এবং একটি নতুন ছুরি কেনে শ্রদ্ধার দেহ কেটে ফেলে ৩৫টা টুকরো করার জন্য। প্রচুর রক্তের দাগ সহ সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ লুকোনোর চেষ্টা চালায় তারপরের কিছুদিন। মৃতদেহটি কিভাবে লুকোনো যায় তার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ের খোঁজ চালাতে থাকে আফতাব। ছত্তরপুরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার যকৃৎ ও অন্ত্রকে ফেলে দেয় আফতাব। এমনকি জানা গিয়েছে আফতাব ২৬ মে মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ব্যবহার করে শ্রদ্ধার ফোনে। তাঁর ফোন থেকে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে আফতাব। এমনকি ৩১ মে শ্রদ্ধার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তরও দেয় অন্য একজনকে যাতে সন্দেহ না জাগে।

Follow Us https://twitter.com/khaskhobor2020