নদী ভাঙনে বদলে যেতে পারে দুই দেশের সীমান্তের সংজ্ঞা

0
203

ব্যারাকপুর: ইতিমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বহু ঘর, বাড়ি তো বটেই গ্রামের সিংহভাগ অংশ৷ একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সর্বগ্রাসী নদী যেভাবে সবকিছু গ্রাস করছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সীমারেখার সংজ্ঞাটায়৷ কারও অভিযোগ নয়, দীর্ঘ কষ্ট-যন্ত্রণার অভিজ্ঞতায় তুলে ধরছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা৷

আরও পড়ুন: ভাঙছে না বামফ্রন্ট, ফব-র বিদ্রোহের সামনে মাথা নত করল সিপিএম

- Advertisement -

তাঁদের কথায়, ‘‘নাম কা ওয়াস্তে লোক দেখানো বাঁধ সংস্কার না করে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা হোক৷ না হলে অদূর ভবিষ্যতে ইছামতির কবলে ঢুকে দুই দেশের সীমানার রূপরেখায় বদলে যেতে পারে৷’’ কারণ, সুন্দরবনের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ইছামতি নদীর পাড়ের বাসিন্দারা৷

আরও পড়ুন: মুকুলের দলে ফেরার প্রসঙ্গে ‘সাবধানী’ মদনের মুখে ধর্মের কথা

বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম আখারপুরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। আমফানের সময় থেকেই এখানে বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে এই সীমান্তবর্তী এলাকা। ফের চৌকাঠে হাজির আরও একটি ভরা কটাল৷ ফলে আখারপুর, পানিতর ও ইটিন্ডা সহ একাধিক সীমান্তবর্তী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নদীর করাল গ্রাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আরও পড়ুন: মুকুলের বিরুদ্ধে ওঠা সম্মানহানিকর অভিযোগের সামনে দাঁড়িয়েও শুভ্রাংশু নীরব কেন, উঠছে প্রশ্ন

বাসিন্দাদের কথায়, আমফানের ক্ষত এখনও টাটকা৷ সেই ক্ষতকে আরও দগদগে করে দিয়ে গিয়েছে ইয়াস৷ ফলে কাঁচা বাঁধ পাহারা দিতে রাত জাগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের৷ কারণ, সম্প্রতি হাজির হওয়া অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছিল গ্রামগুলি। বাঁধ ভেঙে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে হতে হয়েছে নিরাশ্রয়৷ তখন থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, কারও বা রাত কাটছে আত্মীয়ের আশ্রয়ে।

দোরগড়ায় হাজির ভরা কোটাল। বাসিন্দারা বলছেন, সমাধানের রাস্তা একটাই কংক্রিটের বাঁধ। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দারা দাবি জানালেও সুরাহা হয়নি৷ স্থানীয়দের কথায়, প্রশাসন বারবার বাঁধ সংস্কার করার কথা বলছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি সুন্দরবন কেন্দ্রিক। কিন্তু সীমান্তের এই মানুষগুলির দুর্দশাও সুন্দরবনের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তাই সীমান্তবাসীরা দাবি করছেন, তাঁদের এলাকাতেও কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করা হোক। তা না হলে একটা সময় সীমান্তের সংজ্ঞাটাই বদলে যাবে