ভাঙছে না বামফ্রন্ট, ফব-র বিদ্রোহের সামনে মাথা নত করল সিপিএম

আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর ‘জল’ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

0
220

কলকাতা: শেষ কবে এমনটা হয়েছে মনে করতে পারছেন না অতি বড় বাম সমর্থকও৷ ছোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল বড় শরিক সিপিএম৷ ফলে এখনই বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসছে না ফরওয়ার্ড ব্লক৷ তবে জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বামফ্রন্টের আনুষ্ঠানিকভাবে জোট বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন:  মুকুলের দলে ফেরার প্রসঙ্গে ‘সাবধানী’ মদনের মুখে ধর্মের কথা

- Advertisement -

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলাম, বামফ্রন্টের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখা না হলে আমরা বাধ্য হব ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যেতে৷ কারণ, একটা সাম্প্রদায়িক দল এবং আরেকটা মুক্ত অর্থনৈতিক দলের সঙ্গে আর যাই হোক, বামফ্রন্ট একসঙ্গে পথ চলতে পারে না৷ আমরা আমাদের সেই মতটাই জানিয়েছিলাম বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে৷’’

আরও পড়ুন: মুকুলের বিরুদ্ধে ওঠা সম্মানহানিকর অভিযোগের সামনে দাঁড়িয়েও শুভ্রাংশু নীরব কেন, উঠছে প্রশ্ন

নরেনবাবুর দাবি, ‘‘বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বামফ্রন্ট বামফ্রন্টের মতোই চলবে৷’’ তাহলে কি কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আর জোট থাকছে না? নরেনবাবুর দাবি, ‘‘আমাদের আপত্তি তো সেটা নিয়েই ছিল৷ সেই আপত্তি মেনে বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট বামফ্রন্টেই থাকবে৷ ফলে যদির কথায় আমরা এখনই যাচ্ছি না৷ পরিস্থিতির ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে৷’’

আরও পড়ুন: ‘ঘরের ছেলে’ মুকুলের পাশে থেকে মিডিয়াকে কড়া বার্তা মমতার

প্রসঙ্গত, চৌত্রিশ বছর রাজ্য শাসনের মাত্র ১০ বছরের মাথায় রাজ্য থেকেই কার্যত মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট৷ এবারের নির্বাচনে পুরনো সঙ্গী কংগ্রেসের পাশাপাশি বামফ্রন্ট জোট করেছিল আইএসএফের সঙ্গেও৷ ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, ঝুলি শূন্য৷ ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চেই তাঁরা প্রথম জানতে পারেন, যে জোটে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আইএসএফ৷

একাধিক কারণে দীর্ধদিন ধরেই বড় শরিকের ওপরে ক্ষিপ্ত অন্য শরিকেরা৷ তবে ফব-র তরফে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর যেভাবে বড় শরিক পিছু হঠল, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এখন দেখার, আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর ‘জল’ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷