‘কালো জাদু’ করে প্রেমিককে ফিরে পেতে গিয়ে ১ লক্ষেরও বেশি টাকার প্রতারণার শিকার মহিলা

0
152

খাস ডেস্ক: হারানো ভালোবাসা ফিরে পেতে চান? প্রেমিক বা বান্ধবী অথবা স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান? জ্যোতিষীদের এমন দাবি করা বিজ্ঞাপন প্রায়শই দেখাই যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জানা যায় যে, এই সব আদতে একটি প্রতারণার পদ্ধতি। আসলে, বাস্তবে এরকম কিছুই ঘটে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ সহজেই ভুয়ো জ্যোতিষীর ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারায়। এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে চিনের সাংহাইয়ে। যেখানে এক তরুণী তার প্রেমিককে ফিরে পেতে কথিত ‘কালো জাদু’র(Black Magic) পথকে বেছে নেন এবং এই তুকতাকের চক্করে ১৩ হাজার ইউয়ান (প্রায় ১.৫৬ লক্ষ টাকা) খোয়া গেল তার। আদতে ওই মহিলা এক ভণ্ড জ্যোতিষীর বশীকরণ বা কালো জাদুর এই অবাস্তব দাবিতে বিশ্বাস করেছিলেন। যার কারণে প্রায় ১ লক্ষেরও বেহসি তাকা খোয়া গিয়েছে তার।

পরে ওই মহিলা পুলিশে অভিযোগ করলে প্রতারকদের পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে যে অভিযুক্তরা অবিবাহিত ব্যক্তিদের টার্গেট করত এবং তাদের বলত কীভাবে প্রেম সম্পর্কিত মন্ত্র এবং আচারগুলি(Black Magic) সম্পাদন করতে হয়। এই চক্র চালিয়ে প্রায় 8,00,000 ইউয়ান অর্থাৎ প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে তারা।

- Advertisement -

একটি চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথমে মেয়েটি তার ভবিষ্যৎ জানতে ৫৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৭ হাজার টাকা) দিয়েছিল। যখন ওই ভণ্ড জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে তিনি তার প্রেমিককে ফিরে পেতে পারেন, তখন তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন। ভুয়ো জ্যোতিষীর ওই দল তখন প্রেমিককে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ‘কালো জাদু’ আচারের একটি সিরিজ বিক্রি করে।

ওই তরুণীর কাছে দুটি জ্বলন্ত মোমবাতির ভিডিও পাঠাইয় প্রতারক। প্রথম মোমবাতিটির অর্থ বলা হয়েছিল যে এটি তার প্রেমিকের নতুন সম্পর্ক শেষ করবে। যেখানে দ্বিতীয় মোমবাতি জ্বালানোর অর্থ বলা হয়েছিল যে মেয়েটি প্রেমে তার ভাগ্য ফিরে পাবে। এরপর এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয় কথিত ‘কালো জাদু’। মেয়েটিকে অভিযুক্তরা বলেছিল যে তারা শয়তানের কাছ থেকে শক্তি নিয়ে আসবে যাতে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং প্রাক্তন প্রেমিক তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে না পারে। এ জন্য মেয়েটিকে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে হাজার টাকা মূল্যের তাবিজের হার লেখা ছিল। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ বিছিয়ে একের একের পর পদ্ধতি সামনে আনতে থাকে আর যার মূল্য নিতে থাকে অভিযুক্তরা। এরপরেই ওই মহিলা বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অবশেষে পাকড়াও করে প্রতারকদের।