শীত পড়ছে না বলেই ভূমিকম্প, দাবী বিশেষজ্ঞদের

0
252

খাস খবর ডেস্ক: ঠিক ভোর ৫টা ১৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড। কেঁপে উঠেছিল দুই বাংলা। আপাতদৃষ্টিতে মৃদু কম্পন। কিন্তু ক্রমে জানা যায়, উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৬.৩।

আরও পড়ুন: Earthquake: ইন্দো-বার্মা সীমান্তে জোরালো ভূমিকম্প, কাঁপল দুই বাংলা

- Advertisement -

ততক্ষণে উৎপত্তিস্থল সম্বন্ধে বাকী তথ্যও মিলতে শুরু করেছে। মিজোরামের থেনজল, তার ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এপিসেন্টার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার গভীরে। কিন্তু ঠিক কী কারণে হল এই ভূমিকম্প? জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের গবেষকরা একটি চমকপ্রদ ব্যখ্যা দিচ্ছেন।

ভৌগোলিক নিয়ম অনুসারে ভূগর্ভস্থ দুটি পাত যখন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় কিংবা একটি পাত যদি অবনমিত অর্থাৎ স্থানচ্যুত হয়, তখনই সৃষ্টি হয় ভূমিকম্প। গবেষকরা মনে করছেন, একটি বিশেষ কারণে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান পাত নীচের দিয়ে নেমে যাওয়ার ফলেই কেঁপে উঠেছে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত। কী সেই কারণ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা-ত্রিপুরা-মেঘালয়সহ পূর্বাঞ্চলের একাধিক রাজ্যে শীত জাঁকিয়ে না পড়া।

আরও পড়ুন: ডেল্টায় কাজ করছে না কোভিশিল্ড, হুঁশিয়ারি গবেষকদের

হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞের দল ঠিক এই ধারণাই করছেন। ভারতের উত্তর-পশ্চিমে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট ইত্যাদি রাজ্যে শীত বীরবিক্রমে চলে এলেও ফাঁকি পড়েছে বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মনিপুর এবং মিজোরাম। ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহেও চিত্রটির পরিবর্তন ঘটবে কিনা জানা নেই। ভূতাত্ত্বিক গবেষকদের মতে এ-ই ভূগর্ভস্থ পাতের বিচ্যুত হওয়ার কারণ।

কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একাধিক অঞ্চলেই এদিন ভোরে কম্পন অনুভূত হয়। ওদিকে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশও। ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি।