চাঁচল: টাকার বিনিময়ে কলেজে ভর্তির অভিযোগ আগেও এসেছে। ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অনার্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ। সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার চাঁচল-২ ব্লকের মালতিপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আমানত সরকার চাঁচল কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি মহম্মদ রিজওয়ানসহ তাঁর গোষ্ঠীর লোকজনের অভিযোগ, অনার্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ছাত্র ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন আমানত সরকার। এনিয়ে কিছুদিন ধরে রিজওয়ান ও আমানত গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। শনিবার রাতে তা চরম আকার ধারন করে।
আরও পড়ুনঃ Deprived: সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরে না জনজাতি অংশের মানুষজনদের
শনিবার রাতে মালতিপুর স্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় দুপক্ষের মধ্যে এনিয়ে প্রথমে বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। লাঠিসোটা নিয়ে চলতে থাকে মারধর। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিনত হয়ে যায় গোটা এলাকা। ঘটনায় আহত হয় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দুপক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশকর্মীরা।
মহম্মদ রিজওয়ানের অনুগামী ছাত্রনেতা রহিম বলেন, ‘কলেজে ভর্তির নাম করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন আমানত সরকার । মহম্মদ রিজওয়ান তার প্রতিবাদ করেছিল বলে আমানত দলবল নিয়ে ওর উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। রিজওয়ানের মাথা ফেটে যায়। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও ওরা মারধর করে।’
অন্যদিকে আমানত সরকার বলেন, ‘রিজওয়ান দলের কোনও পদেই নেই। এমনকি কলেজের ছাত্রও নয়। আমার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অনার্স করে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে সেটা একেবারেই ভিত্তিহীন। যদি আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষকের কাছে জানানো হোক। কলেজ তদন্ত করে দেখুক। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমান করুক ওরা।’