Deprived: সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরে না জনজাতি অংশের মানুষজনদের

0
24

ত্রিপুরা: সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরে না প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষজনের। সেরকমই এক পরিবার নুনাছড়া এসিডি ভিলেজে হতদরিদ্র দিব্যাঙ্গ বীর কুমার রিয়াং-এর পরিবার। একপ্রকার অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ Road Accident: শীতের দিনে দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশের নয়া উদ্যোগ, রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা, চালানো যাবে না দূরপাল্লার লরি

- Advertisement -

সমাজের দরিদ্র অংশের মানুষের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রকল্পগুলিকে উপযুক্তভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য রয়েছে আমলা বাহিনী। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে একাংশ দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক সহ কর্মীদের বদান্যতায় সমাজের প্রকৃত দরিদ্র অংশের মানুষজন সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। ত্রিপুরার বিগত ২৫ বছরের সিপিআইএম সরকার গেল নতুন সরকার এলো, কিন্তু রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একাংশ জনজাতি অংশের মানুষজনদের দুঃখের দিন এখনও শেষ হয়নি।

আরও পড়ুনঃ Tourist PM: মোদী হলেন দেশের ‘পর্যটক প্রধানমন্ত্রী’, কৃষক ইস্যু নিয়ে নিয়ে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস নেত্রীর

তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ নুনাছড়া এডিসি ভিলেজের হামপাইলা এলাকায় বসবাসকারী এক হতদরিদ্র দিব্যাঙ্গ উপজাতি জুমিয়া হলেন বীরকুমার রিয়াং। এই পরিবারটির সংসার চালানোর সহায় সম্বল হলো, জুমচাষ করা এবং বনের লতা-পাতা সংগ্রহ করে সেগুলিকে বাজারজাত করে নিজেদের দিনাতিপাত করা। যেহেতু তিনি দিব্যাঙ্গ সেহেতু আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো জুম চাষ কিংবা লতা পাতা সংগ্রহ করতে খানিকটা বেগ পেতে হয়। এমনকি সরকারি রেশন কার্ডটি ও বিপিএলের পরিবর্তে সরকারিভাবে এ পি এল।

মৌলিক অধিকার ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গুলি থেকে বঞ্চিত এই পরিবারটি। স্বামী স্ত্রী সহ কন্যা সন্তানটি জুমচাষ কিংবা বনলতা কুড়িয়ে সংসার প্রতি পালন করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তারপরও সরকার বাহাদুর তার দিকে মুখ ফিরে তাকায়নি। সরকারের কাছে চেয়েছিল একটি বসতঘর। তাও তার ভাগ্যে মঞ্জুর হয় নি। এই ব্যাপারে বলতে গিয়ে বীর কুমার বলেন, ‘সরকারের কাছে আমি দরিদ্র নই। তাই সরকার বাহাদুর পরিবারের রেশন কার্ডটি বিপিএল এর পরিবর্তে এপিএলের কোঠায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।’

পরিবার সমেত বাঁশপাতা ঘরের ছাউনির নিচে দিন গুজরান করে আসছে এই রিয়াং পরিবার । কারণ বর্তমানে প্রত্যন্ত এলাকায় গুলিতে বাস থাকলেও ছন এরপরিমাণ কম হওয়াতে এলাকার বেশিরভাগ মানুষই ছন এর পরিবর্তে ব্যবহার করছে বাঁশপাতা। এখন দেখার বিষয় সরকার সেই পরিবারটির দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, না কি ওই পরিবারকে সরকারি বিভিন্ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র বীর কুমার রিয়াং জোড় হাতে সরকারের কাছে আবেদন জানান, সরকার যেন তাঁর পরিবারটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।