নারীরূপ ধরে শিবের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন বিষ্ণু, তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে

0
316

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ভগবানের আসলে কোনও লিঙ্গ হয়না। কখনও তিনি পুরুষ, আবার কখনও নারী। অর্থাৎ যখন যে রূপ ইচ্ছা ধারণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: শ্রী শ্রী কালীকথা

- Advertisement -

বিষয়টি বিশদে বর্ণিত হয়েছে হিন্দু পুরাণে-ও। যেখানে ভগবান বিষ্ণুর একবার নারীরূপ ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। নাহ্ কেবল নারীরূপ ধারণ-ই নয়। নারীরূপী নারায়ণের সঙ্গে মিলিতও হয়েছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফলস্বরূপ এক পুত্রসন্তানের-ও জন্ম দেন তাঁরা।

সেটা সমুদ্র মন্থন পরবর্তী সময়। অসুরদের সাহায্য নিয়ে পাতাল থেকে অমৃত তুলেছিলেন দেবতারা। কিন্তু তাঁরা অসুরদের ভাগ দিতে নারাজ ছিলেন। এদিকে অসুরেরা-ও নাছোড়বান্দা। উপায়ান্তর না দেখে বিষ্ণু ‘মোহিনী’ নামের এক অপরূপ সুন্দরীর মূর্তি ধারণ করেন। যার সাহায্যে অসুরদের মোহিত করে অমৃতকুম্ভ ছিনিয়ে আনেন।

তারপর তা দেবগণের মধ্যে বিতরণ করতে থাকেন। একমাত্র স্বরভানু ওরফে ‘রাহু’ নামক অসুরই বিষ্ণুর ছল ধরতে পেরেছিল। সেও ছলের দ্বারা দেবতার রূপ নিয়ে অমৃত পান করতে বসে যায়। কিন্তু কপাল মন্দ! সূর্যদেব আর চন্দ্রদেব তাকে চিনতে পেরে জানিয়ে দিলেন বিষ্ণুকে। বিষ্ণু তৎক্ষণাৎই সুদর্শন চক্র দ্বারা রাহুর শিরোচ্ছেদ করেন।

কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না বিষ্ণুর একমাত্র নারী অবতার— মোহিনী’র অধ্যায়। একাধিক পুরাণে কথিত, দেবাদিদেব মহাদেবকে ভস্মাসুরের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এই মোহিনী-ই। আর তারপর মোহিনীর রূপে শিব এতটাই মোহিত হন যে বিষ্ণুর কাছে এসে অনুরোধ করেন যাতে তিনি আবার মোহিনী রূপ ধারণ করেন। মহাদেব সেই রূপের সঙ্গে সঙ্গমে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ সময়টা তিনি কার্যত নিজের স্ত্রী পার্বতীকে-ও ভুলে গিয়েছিলেন।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

শিব এবং মোহিনীর সঙ্গমে জন্ম নেন আয়াপ্পা। অর্থাৎ শিবের আরেক সন্তান। কোনও কোনও পুরাণে আয়াপ্পাকে শিব-মোহিনীর বরপুত্র রূপেও কল্পনা করা হয়েছে। ইনি মূলতঃ দক্ষিণ ভারতেই পূজিত হন।