বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়তে পারে মুসলিম মেয়েদের, শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা জাতীয় মহিলা কমিশনের

কিছুদিন আগেই মুসলিম মেয়েদের বিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় কোর্ট

0
72
muslim girl marriage age

নয়া দিল্লি: মুসলিম মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের (muslim girl marriage) বয়স হোক ১৮ বছর। এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল জাতীয় মহিলা কমিশন। মামলাটি গ্রহণ করে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে ওই মামলাটি করেছেন আইনজীবী গীতা লুথেরা, আইনজীবী শিবানী লুথেরা লোহিয়া এবং অস্মিতা নারুলা।

আরও পড়ুন :প্রেমে প্রত্যাখিত হয়ে আত্মঘাতী কলেজ পড়ুয়া, প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

- Advertisement -

হলফনামায় বলা হয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলাটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগের জন্য দায়ের করা হয়েছে। যাতে অন্যান্য ধর্মের জন্য প্রযোজ্য শাস্তিমূলক আইনের সঙ্গে ‘ইসলামিক পার্সোনাল ল’র সাযুজ্য রাখা যায়। ওই হলফনামায় এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘যে মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছে, সে হয়তো জৈবিকভাবে প্রজনন করতে সক্ষম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট মেয়েটি মানসিক ভাবে যথেষ্ট পরিপক্ব এবং বিয়ে করার জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত।’’

আরও পড়ুন :বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে বড় পরিবর্তন, বিচ্ছেদে ১ বছরের অপেক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল কোর্ট

আরও পড়ুন :রাত পোহালেই TET পরীক্ষা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থাকছে বাড়তি নজরদারি

প্রসঙ্গত সম্প্রতি দেশে মহিলা ও পুরুষদের বিয়ের বয়স এক করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চলছে। এই ব্যাপারে গঠন করা হয়েছে সংসদীয় কমিটি। এখন দেশে মহিলাদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স (muslim girl marriage) ১৮ ও পুরুষদের ২১ বছর। তবে মুসলিম মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। কোন মুসলিম মহিলা ঋতুমতি হলে বা ১৫ বছর পেরোলেই তাঁকে বিবাহযোগ্য মনে করা হয়। সম্প্রতি মুসলিম মেয়েদের বিয়ে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। ১৫ বছর বয়স হলেই পছন্দের জীবনসঙ্গী বেছে নিয়ে বিয়ে করতে পারবেন বা বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবেন। রায় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের (jharkhand high court) । রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘মুসলিম মেয়েদের (muslim girls) বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড দেখে। সেই ল বোর্ডেই বলা হয়েছে মুসলিম মেয়েরা ১৫ বছর বয়সের পর নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারবে। আদালতও এই বিষয়ে স্বীকৃতি দিল।’