সৎকারের পরেই করোনায় আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার খবর দিল হাসপাতাল

0
680

আমেদাবাদ: রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে এমনিতেই সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। এবার গুজরাতের করোনা রোগীদের চিকিৎসার চরম গাফিলতির আরও এক উদাহরণ সামনে এল। গুজরাতের একটি প্রধান হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের পরিবারকে জানানো হয়ে যে রোগী মৃত। কিন্তু পরেই মৃত ঘোষিত ওই ব্যক্তির সুস্থতার খবর মেলে।

হাসপাতালের তরফ থেকে করনায় আক্রান্ত দেবরামভাই ভিসিকারের শবদেহ পরিবারকে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে ব্যাগ খুলে শবদেহ শনাক্তকরণ করেননি পরিবারের সদস্যরা। এমনকি পরিচয় না জেনেই শবদাহ করা হয়।

- Advertisement -

এদিকে শবদাহ সম্পন্ন করে ফেলেছেন পরিবারের লোকজন। ঠিক তারপরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয় করোনায় আক্রান্ত দেবরামভাই আস্তে আস্তে ওষুধে সারা দিচ্ছেন। মৃত ব্যাকটির হঠাৎ সুস্থতার খবর পেয়ে হতচকিত হন পরিবারের লোকজন।

২৮ মে দেবরামভাই ভিসিকরের করোনা উপসর্গ দেখা যাওয়ায় আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের কোভিড ১৯ শাখায় ভর্তি করা হয় তাঁকে। তারপরেই ২৯ মে তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। সেই সময়ে তাঁর কোভিড ১৯ পরীক্ষা রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি হাসপাতালে। নির্দেশিকা অনুসারে শবদেহের ব্যাগ খোলা থেকে বিরত থাকেন পরিবারের সদস্যরা। দেহ শনাক্ত না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

সদ্য দাহ করার পরেই ৩০ মে আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় পরিবারের লোকজনকে। তাঁদের দেবরামবাইয়ের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের সবাই এখনও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।

দেবরামভাই-এর আত্মীয় নীলেশভাই জানিয়েছেন, ৩০ মে ফোন আসার পরে আবার হাসপাতালে ফোন করলে তাঁরা জানান যে ভুল করে ফোন করা হয়েছে, আদতে দেবরামভাই ২৯ মে মারা গিয়েছেন। দ্বিতীয়বার হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে আবার জানানো হয় যে, কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁর এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদিও এখনও হাসপাতালের এরকম ভুল তথ্য নিয়ে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে পারেননি পরিবার।