প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রথম এই বিশেষ কথা বললেন CJI Chandrachud

0
26

নয়াদিল্লি: বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত অবসর নেওয়ার পর ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে আজ শপথ নিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পর দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, “সাধারণ নাগরিকের সেবা করা আমার অগ্রাধিকার।” তিনি আরও বলেছেন, “আমি নই, আমার কাজ কথা বলবে।” বিচারপতি চন্দ্রচূড় দুই বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর, পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি থাকবেন। বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন চন্দ্রচূড়। বিচারপতি ললিত ৭৪ দিনের জন্য স্বল্প মেয়াদে শীর্ষ পদে ছিলেন। চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপরি হওয়ার পরেই অনেকেই দেশে নতুন কিছু ঘটার আশা করছেন। জানিয়ে রাখা ভাল, বিচারপতি চন্দ্রচূড় হলেন প্রয়াত বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে যিনি ভারতের দীর্ঘতম প্রধান বিচারপতি হিসাবে সাত বছর ধরে শীর্ষ পদে ছিলেন। বাবা ও ছেলের দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার ঘটনা সত্যিই ঐতিহাসিক।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপরি হওয়ার আগে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেই বেঞ্চগুলিরও অংশ ছিলেন যেগুলি আইপিসির ৩৭৭ ধারা, আধার প্রকল্পের বৈধতা এবং শবরীমালা, সমকামী সম্পর্ককে মান্যতা দেওয়া সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়। তা ছাড়াও অযোধ্যা মামলা, রাইট টু প্রাইভেসি সহ একাধিক ঐতিহাসিক মামলার সাক্ষী থেকেছেন তিনি। করোনাকালে তাঁর প্রতিনিধিত্বে বহু নির্দেশ পাশ হয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ছিলেন তিনি। এরপর ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। অযোধ্যা মামলা, রাইট টু প্রাইভেসি সহ একাধিক ঐতিহাসিক মামলার সাক্ষী থেকেছেন তিনি। তার আগে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে চিফ জাস্টিস হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন চন্দ্রচূড়। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচারক্ষেত্রে ঠিক কতটা পরিবর্তন আসে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।