নয়াদিল্লি: স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কথা ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অভিযানই গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। মোদী সরকার শনিবার ভারতের বর্জ্য সমস্যার সমাধান খুঁজতে একটি নয়া পথ খুলেছে। প্রযুক্তি প্রদানকারী, সরকারী অংশীদার এবং শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলিকে একত্রিত করার জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। জানানো হয়েছে এই পোর্টালের মাধ্যমেই দেশে বর্জ্য সমস্যার সমাধান করা যাবে।
কেন্দ্রের এই নয়া ওয়েব পোর্টাল প্রসঙ্গে প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজয় রাঘবন বলেছেন, “ওয়েস্ট টু ওয়েলথ” পোর্টালের লক্ষ্য হল মজবুত উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা প্রদান করা। রাঘবন টুইট করে লিখেছেন, “গান্ধীজয়ন্তী ২০২১ -এ, স্বচ্ছ ভারত, উন্নত ভারত মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে; rinPrinSciAdvOff এর অফিস একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শক্তিশালী উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা সক্ষম করতে সক্ষম @wasteto_wealth পোর্টাল চালু করেছে।”
The @wasteto_wealth mission of #PMSTIAC aims to enable collaborations to validate decentralized scientific solutions: feasible, pragmatic, and implementable in resource/land constrained settings. Treat waste at source; a zero-waste & zero-landfill approach https://t.co/mqOAAARxyz
— Principal Scientific Adviser, Govt. of India (@PrinSciAdvGoI) October 2, 2021
আরেকটি টুইটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, পোর্টালটির লক্ষ্য ভারতের বর্জ্য সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রযুক্তি প্রদানকারী, সরকারী অংশীদার এবং শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলিকে একত্রিত করা। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভারত সরকার দ্বারা প্রচলিত একটি জাতীয় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছ ভারত অভিযান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হয়েছে দেশের ৪০৪১টি শহরের সড়ক এবং পরিকাঠামোকে পরিষ্করণের ব্যবস্থা করার।
উল্লেখ্য ১ অক্টোবরেই স্বচ ভারত অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের (Swachh Bharat Mission 2.0) সূচনা করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের শহরগুলিকে আবর্জনামুক্ত করাই হল স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের লক্ষ্য। সেই তিনি আরও জানিয়েছিলেন, “সাফাইকর্মীরাই স্বচ্ছ অভিযানের নায়ক। শহরের উন্নয়নে কেন্দ্র ৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ চলছে। তবে সেই কাজকে আমাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দূষণ রোধে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।”