শ্রীনগর: ভারতের ভূস্বর্গকে উত্তপ্ত করার মরিয়া চেষ্টা করছে নতুন করে শুরু করেছে পাকিস্তান। শুধু সেনা নয় বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ খুন করার খেলায় মেতেছে ইমরান খানের দেশ। তবে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাবও দিচ্ছে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী। চলতি বছরে কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর পেয়েছে বিরাট সাফল্য। বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত উপত্যকা জুড়ে ১৩৮ জন জঙ্গিকে খতম করেছে বলেই মঙ্গলবার লোকসভায় তথ্য দিয়ে জানানো হয়।
দু দিন আগেই জঙ্গিরা কাশ্মীরে একজন পুলিশকর্মী ও এক সাধারণ মানুষকে খুন করেছে। এই হত্যালীলা শুরু করেছে অনেক আগেই। তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরাও। চলতি বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। এখানেই শেষ নয় কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ৫৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বছরের শুরু থেকে উপত্যকায় প্রায় ৭০০ জনকে মোতায়েন করেছে বলেই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কৃষ্ণ রেড্ডি বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে সীমান্তের ওপার থেকে মদত দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নাম না করে পাকিস্তানকেই খোঁচা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
শুধু জঙ্গিদের খতম করাই নয় কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়েছে আরও ৫ কম্পানি সিআরপিএফ। আগেই সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঁচটি অতিরিক্ত সিআরপিএফ দল পাঠানো হচ্ছে। এই সংস্থাগুলিকে এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে মোতায়েন করা হবে। বাহিনী এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে ২৫ কোম্পানি পাঠিয়েছিল।” তবে যাই হল সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই তথ্যে জানানো হয়েছে।