আগামী বছর নয়, বরং এবছরই টিকার প্রয়োজন : তেদরোস

0
23
প্রতীকী ছবি

খাসখবর ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসকে রুখতে চিকিৎসকদের একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিন। তবে এই টিকা ঠিক সময় মত গরীব দেশগুলিতে না পৌঁছালে এই মহামারি শেষ হবে না বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়াও জি-৭ নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা খুবই ছোট পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই মহামারিকে রুখতে ১০০কোটি টিকা বিতরণের এই পদক্ষেপ খুবই ছোট। এছাড়াও এটি অনেক দেরিতে গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ১০০কোটি ডোজ নিয়ে কি হবে, মোট ১ হাজার ১০০ কোটি টিকার প্রয়োজন।

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, এরআগে করোনা টিকা নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনার মুখে পড়েছে জি-৭। করোনা ভাইরাস রুখতে উন্নতিশীল সাতটি দেশের জোট জি-৭ ঘোষণা করেছিল গরিব ও পিছিয়ে পড়া দেশ গুলিকে ১০০টিকা দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তকেই সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এবিষয়ে জাতিসংঘের প্রধান মার্ক লোকক বলেছেন, “আগামী বছর পর্যন্ত এই ১০০ কোটি ডোজ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি জাতিসংঘ দিয়েছে, তা অন্তত ‘ছোট পদক্ষেপ’। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল, তাতে ব্যর্থ হয়েছে জি-৭।”

আরও পড়ুন-রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, “কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জি-৭ যে নতুন ১০০ কোটি টিকা গরিব দেশগুলিকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে গরিব দেশগুলোর সাহায্য হবে। তবে আমাদের আরও বেশি ও দ্রুত সাহায্য করার কথা ভাবা দরকার। এখন এই ভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। আগামী বছর নয়, বরং এবছরই টিকার প্রয়োজন।”

জানা গিয়েছে, পরবর্তী জি-৭ সম্মেলনের আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এবিষয়ে তেদরোস বলেন, “এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন ১ হাজার ১০০ কোটি ডোজ টিকা। একমাত্র জি-৭ ও জি-২০ জোট একা সম্ভব করতে পারে।”

উল্লেখ্য, টিকা বিতরণের জন্য বিশ্বের নানা দেশকে জুড়ে গ্লোবাল কমিটি বানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার নাম ‘কোভিড ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস’ বা কোভ্যাক্স। এর উদ্দেশ্য হল চাহিদা অনুযায়ী সব দেশে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়া। বিশেষত যে দেশগুলিতে সংক্রমণের হার ও মৃত্যু বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর উচিত এই কমিটির মাধ্যমে গরিব দেশ গুলি কাছে পৌঁছে দেওয়া। ভারত কবে কর্মসূচিতে অনেক দেশেই টিকা সরবরাহ করেছে। এরপর সেই পথে হাঁটতে চলছে গোটা বিশ্ব।