হাসিনার মুকুটে নয়া পালক জুড়ল রাষ্ট্রসংঘ

0
217

খাসখবর ডেস্ক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে এক নয়া পালক এল প্রধানমন্ত্রীর মুকুটে। এবার রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’র (CDP) অন্যতম শীর্ষকর্তা তাফেরে তেসফাচিউ।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব জনগণকে দিয়েছেন। গর্বের সঙ্গে তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করবে। এই মান ধরে রাখাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জগুলি কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সূচকগুলো ধরে রাখতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে যা যা করা দরকার, আমি করতে প্রস্তুত।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন-লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন বাংলাদেশে

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাংলাদেশে এমন মানুষ ছিলেন, যাঁদের কোনও আশা-ভরসা ছিল না। হাত পেতে চলতে হত। তাঁদের জন্য আমরা ঠিকানার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষে এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। ওই ঠিকানাই তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।”

প্রসঙ্গত, ‘ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ কমিটির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পৌঁছনোর উপযোগী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, তিন বছর মাথাপিছু আয়, অর্থনৈতিক উন্নতি, পরিবেশ ইত্যাদির বিষয় গুলির ওপর নজর দিয়ে উন্নয়নের একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে তবেই চূড়ান্ত সুপারিশ করে সিডিপি। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার সেই সুপারিশ অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন-ঢাকা থেকে সোজা NJP, পর্যটন শিল্পে নতুন দিশা কেন্দ্রের

এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার।

এদিকে, উন্নয়নশীল দেশের তকমার ফলে যেমন কিছু সুবিধা আছে, ঠিক তেমনই কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এবিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন থেকে এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রপ্তানি ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুটা ছাড় ও আর্থিক অনুদান পেত। তবে এবার থেকে আর সেটা পাবে না বাংলাদেশ। তবে এবার উন্নয়নশীল দেশের তকমা পাওয়া বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বাড়বে। এর ফলে বিদেশি লগ্নিকারীদের আস্থাও বাড়বে। একইসঙ্গে তৈরি হবে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ। সমস্তটা মিলিয়ে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।