কোরানের শুদ্ধ বাংলা অনুবাদ , শিলিগুড়ির মাস্টারমশাইয়ের অনুবাদ পাড়ি জমিয়েছে ওপার বাংলাতেও

0
43

খাস প্রতিবেদন: চেষ্টা আর অধ্যাবসায় থাকলে অসাধ্যসাধনও সম্ভব৷ নিজের জীবন দিয়ে সেটা করে দেখাতে পেরে যারপরনাই আপ্লুত জলপাইগুড়ি শহরের জীববিদ্যার শিক্ষক মজাহারুল হক৷ টানা ৬ মাসের দিন রাতের নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসেবে, নিজেদের ধর্মগ্রন্থ কোরানের শুদ্ধ বাংলা অনুবাদ করে ফেলেছেন তিনি৷ এখন তাঁর অনুবাদ করা বাংলা কোরান, এরাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশেও৷

রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিদ্যার শিক্ষক মজাহারুল হক৷ থাকেন জলপাইগুড়ি শহরের সেন পাড়ায়৷ বলছিলেন, ‘‘একেই বিদেশী ভাষা। কঠিন তার উচ্চারণ। পড়তে গিয়ে মাঝে মধ্যে হোঁচট খেতে হয়। আবার শব্দের মানে বুঝতে না পাড়ায় অনেকেই আসল অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করতে পারছিলেন না৷ তাই কোথাও একটা মনকষ্ট ছিলই৷ যে কষ্ট আমাকে তাড়া করে বেড়াত৷’’

- Advertisement -

এরপরই নিজে কোরানের বাংলা অনুবাদের সিদ্ধান্ত নেন৷ সেই মতো ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে শুরু করেন৷ এছাড়াও আলেম ওলেমারদের সাহায্য নিয়ে প্রায় ৬ মাস দিন রাত নিরলস প্রচেষ্টায় শুদ্ধ বাংলায় অনুবাদ করেন কোরানের বাংলা অনুবাদ৷ শিক্ষকের এমন উদ্যোগে খুশি মুসলিম সম্প্রয়াদের মানুষজন৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘কোরান আরবিতে লেখা। বিদেশি একটা ভাষা। পড়ে গেলেও তার সারমর্ম বোঝা কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো। সেদিক থেকে কোরানে আল্লাহ, ধর্মের যে বাণী দিয়ে গেছে বাংলায় অনুবাদের ফলে এবার তার অর্থ বুঝে জানতে আরো সুবিধা হবে৷’’

মজাহারুলের দাবি, এটাই কোরানের প্রথম বাংলা অনুবাদ। ইতিমধ্যে তার এই অনুবাদ করা কোরান দেশের সীমা ছাড়িয়ে বাংলা দেশে পাড়ি জমিয়েছে৷ স্বামীর এই কাজে খুশি তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, ‘‘আরবিতে কোরান পড়ি। কিন্তু অর্থ বুঝেতে সমস্যা হয়। আর নিয়ম আছে অর্থ বুঝে পড়তে হবে। এবার কোরানের বাংলা তর্যমা করাতে অর্থ বুঝে পড়তে সুবিধা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: সাবধান, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে প্রকৃতি, কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুলই তার প্রমাণ