বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি: ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ ছিল দুর্গাপুজোর সময় মন্দিরে হামলা

0
48

বাংলাদেশ: শুরুটা হয়েছিল মহাষ্টমীর দিন পবিত্র কোরান অবমাননার ছুতোয় কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে আক্রমণ দিয়ে৷ সেখানে দুর্গামূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি মণ্ডপ তছনছ করে দিয়েছিল মৌলবাদীরা। মহাষ্টমীর দিন অকাল বিসর্জন হয়েছিল ঊমার। এরপরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রমণের তীব্রতা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজনীতি। এর মধ্যেই অষ্টমীর দিন মন্দিরে হামলা নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিবাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। জানিয়েছেন ঝামেলার জন্য নয় বরং বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

বাংলাদেশের ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেকদূর। কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী জেলায় হিন্দু মন্দির ভাঙচুর তথা নির্যাতনের রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পবিত্র কোরানের কথিত মানহানি এবং পরবর্তীতে কুমিল্লায় হিন্দুদের উপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা। কুমিল্লার ঘটনার পেছনে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, “সব প্রমাণ পেলে আমরা তা প্রকাশ করব এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে মুখ প্রিয়াঙ্কাই বললেন পি এল পুনিয়া

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কথায়, “গত কয়েক দিনের হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। দেশের শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাওয়া কিছু কায়েমী স্বার্থের মানুষ এই কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।’’ বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কেন হামলা চালানো হয়েছিল সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, “কী কারণে হামলা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ তার কোনও প্রমাণ এখনও সরকার পায়নি।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, “শনিবার রাত থেকে কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ধৈর্য ধরে কাজ করছে। যারা সাম্প্রদায়িক শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা সফল হবে না।”

তবে অনেকেই বলছেন বাস্তব বলছে না এই কথা, জানা গিয়েছে, রংপুর, পীরগঞ্জ ও রামনাথপুর ইউনিয়নের বটেরবাজার, মাঝিপাড়া নামক দু’টি সংখ্যালঘু হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাই নিয়েও এখন বেশ উত্তাপ রয়েছে ওপার বাংলায়। চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, বান্দরবান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি পূজা স্থান ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলেও খবর রয়েছে।

আরও পড়ুন- প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসী স্বামী অমেয়ানন্দজী, শোকপ্রকাশ মমতার

এই সমস্ত ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক কড়া বিবৃতি দিয়েছে এই প্রসঙ্গে। অনেকেই ভেবেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের ফলে পড়শি দেশে এবার হয়ত হিন্দু নির্যাতন কমবে। বাংলাদেশ প্রসাসনের আগামী সিদ্ধান্তে কি হয় সেটার দিকেই নজর রয়েছে সকলের।