তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: জুম্মাবারেই মুখ ফিরিয়েছে আদালত৷ তারপরেই ফের সিবিআইয়ের সমন! আসলে ‘বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর যুবরাজের জন্য অপয়া। এখানকার মানুষ চায় না উনি এখানে আসুন!’ দাবি বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর ঝড় জলকে সঙ্গী করে সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর মিনি মার্কেটে দলীয় এক সভায় হাজির হয়েছিলেন লকেট৷ সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে এমন দাবি করে বসলেন অভিনেত্রী-নেত্রী৷
আরও পড়ুন: প্রথম দশে নেই কলকাতা, ফেল করল ১ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী! উঠে আসছে অযোগ্য শিক্ষকদের প্রসঙ্গ
বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর সত্যি কি অভিষেকের জন্য অপয়া? নিজের দাবির স্বপক্ষে লকেটের ব্যাখ্যা, ‘‘কোচবিহার থেকে যাত্রা শুরু করে বাঁকুড়ায় পৌঁছানোর পরপরই ‘যুবরাজ’কে সিবিআই ডেকেছে! কি হবে কেউ জানে না!’ খানিক থেমে ঠোঁটে একরাশ শ্লেষ এনে লকেটের সংযোজন, ‘‘তিহারে অনুব্রতর মতো হাল হবে না অন্য কোন জেলে যাবে কেউ জানে না!’’
আরও পড়ুন: ভানু বেঁচে থাকলে সত্যি কি শুভেন্দুর বিপদ বাড়তো? কুণালের মন্তব্য ঘিরে বাড়ছে প্রশ্ন
সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও বিজেপি নেত্রী লকেট নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘বাঁকুড়া-বিষ্ণপুর ওনার জন্য খুব অপয়া। এখানে আসার পর প্রাকৃতিক দূর্যোগে সভা আটকেছে, ভগবান চান না এখানকার মানুষের আর কোন ক্ষতি হোক।’’ এরপরই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘‘মুখে তো অনেক বড় বড় বাতেলা আউড়ান! সিবিআই ডেকেছে তো এত ভয় কেন! হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে ছুটতে হচ্ছে কেন? অন্যায় না করলে যান, গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসুন!’’ বিজেপির এদিনের কর্মসূচিতে লকেট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা প্রমুখেরা৷
আরও পড়ুন: ‘বন্ধ পাথর শিল্প, অর্ধাহারে তিরিশ হাজার মানুষ’ বাঁকুড়া সফরে উন্নয়নের বহর দেখলেন অভিষেক