চলছে মাধ্যমিক, বিশ্ব বাংলার স্লোগান তুলে তারস্বরে বাজছে মাইক, প্রশ্ন উঠতেই অদ্ভুত সাফাই তৃণমূল নেতার

মাধ্যমিক চলাকালীন একই দলের দুই নেতা দুই ভূমিকায়

0
71
madhyamik exam

হাওড়া : মাধ্যমিক (madhyamik exam) চলাকালীন মাইক বাজিয়ে বিধিভঙ্গের অভিযোগ। ফের অভিযুক্ত খোদ শাসকদলের নেতা। তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সভা করে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল।

আরও পড়ুন :প্রয়াত সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

- Advertisement -

ঠিক যেন উলটপুরান। একই দলের দুই নেতাকে দেখা গেল মাধ্যমিক চলাকালীন দুই ভূমিকায়। একজন মাইক না বাজিয়ে খালি গলায় বক্তৃতা দিলেন । অপর দুই জন মাইক বাজিয়ে বিধিভঙ্গের পথে হাঁটলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক (mike) বাজানো নিষেধ। সম্প্রতি এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনকেই হাতিয়ার করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। মাইক ছাড়াই রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে দলীয় কর্মী ও রাজ্যের অনান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বার্তা দেন। মন্ত্রীর (minister) এই কাণ্ড কারখানা দেখে অনেকেই দিয়েছেন বাহবা।

আরও পড়ুন :নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতগামী গাড়িকে ধাক্কা তৃণমূল নেতার গাড়ি

আরও পড়ুন :মধ্যরাতে Iman Chakraborty’কে হেনস্থা, বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ গায়িকা

অন্যদিকে প্রশাসন ও দলের নির্দেশকে অমান্য করে মাইক বাজিয়ে বিধিভঙ্গের পথে হাঁটলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বিধিভঙ্গের প্রশ্ন উঠতেই অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন সাংসদ। তাঁর দাবি, রাজনীতির ব্যাপারে এইসব একটু-আধটু করতে হয়।

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ

জেলা সদর সভাপতির অবশ্য দাবি ঘেরা জায়গায় বক্স বাজানো হয়েছে। কোন চোঙ ছিল না। সম্প্রতি মাইক বাজিয়ে বিধি ভঙ্গ করেছিলেন বালির বিধায়ক। এরপর দল থেকে তাঁকে সতর্ক করা হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই ঘটনায় টিপ্পনী কাটতে ছাড়েনি বিজেপি। হাওড়া জেলা সদর বিজেপির সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। নতুন করে বলার কিছু নেই। ওরা মাধ্যমিক পরীক্ষার (madhyamik exam) আগে ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে জলের বোতল দেয়। হাতে গোলাপ ফুল দেয়। আর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন তারস্বরে মাইক বাজিয়ে সভা করে। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রকাশ্যে মাইক বাজানো আইন বিরুদ্ধ কাজ। সেটাই তৃণমূল কংগ্রেস করে দেখাচ্ছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলই হোক বা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য কোনও শাখা সংগঠন হোক, সর্বত্রই একই ব্যাপার।

বিজেপি নেতা