পাখির পাখনা, টিকটিকির লেজ, পুরুষের ছবি লাগানো পুতুল… দমদমের ওই বাড়িতে কি চলত Black Magic

অভিযুক্ত সৌরভের পাশাপাশি তাঁর বাবা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে তন্ত্র সাধনার অভিযোগ রয়েছে

0
467
black magic

দমদম: দমদমে তান্ত্রিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার পশু-পাখির দেহাংশ। ঘটনা ঘিরে বাড়ছে কৌতূহল। মনে করা হচ্ছে ওই বাড়িতে কালা যাদু (black magic) করতেন তান্ত্রিক। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পুরুষের ছবি লাগানো পুতুলও।

- Advertisement -

আরও পড়ুন :আততায়ীর গুলিতে কেঁপে উঠল জার্মানির চার্চ, মৃতের সংখ্যা কত

ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। পাখির পাখনা, টিকটিকির লেজ, প্রাণীর মল, পুতুল অন্তত সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কথায় বলে বাস্তবের আয়না হল পর্দা। দমদমের বাড়িটি থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি দেখে অনেকে মনে করছেন ঠিক সিনেমার পর্দার মতো কালা যাদু করতেন সৌরভ। ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী বিনু চৌধুরী স্পষ্ট মেনে নিয়েছেন তিন দশক ধরে বাড়ির ভেতর তন্ত্রসাধনা চলত।

আরও পড়ুন :ইডি হেফাজতে কেষ্ট, এবার কি চড়াম চড়াম ঢোল বাজাবেন মদন

আরও পড়ুন :Horoscope: আজ বাড়বে খরচ, পাবেন চাকরির খবরও


শুধু সৌরভ নন তাঁর স্ত্রী, তাঁর বাবা ও তাঁর পরিবারের অনেকেই তন্ত্র সাধনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর সৌরভের বাবা রাখাল চৌধুরীও তন্ত্র সাধনার কথা মেনে নিয়েছেন। সৌরভের স্ত্রী পিঙ্কি ওরফে রাখি শাস্ত্রী নিজেও কালা জাদুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন বংশ পরম্পরায় রাখাল চৌধুরী তাঁর ছেলে সৌরভ চৌধুরী তন্ত্রসধনা করত। জানা গিয়েছে সৌরভ ও তাঁর স্ত্রী রাখীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এক ব্যক্তি সৌরভের তন্ত্রসাধনায় (black magic) কাজ না হওয়ায় রাখির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে আরও অভিযোগ। এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই বাড়িতে হানা দেয় বন দফতর ও পুলিশ। গোটা ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ওই বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দারা। এই ঘটনা তদন্তকারী দলে উত্তরবঙ্গের ৩ জন ও দক্ষিণবঙ্গের ১ জন আধিকারিক থাকবেন ।

জানা গিয়েছে বন্যপ্রাণী দেহাংশ কব্জায় রাখার প্রথম ইঙ্গিত এসেছিল মেঘালয় থেকে। একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে ঘটনাটির কথা জানান হয়। মনে করা হচ্ছে যে কালো হরিণের চামড়া বা বাঘের দাঁত নখ মিলেছে তা বাইরে থেকে আনা হয়েছে। সম্ভবত উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্য থেকে।বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যারাকপুর আদালতে দেখে পাঠানো হয় পিঙ্কি ওরফে রাখি শাস্ত্রীকে। এই মামলায় তাঁর বয়ান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী এখনও পলাতক। প্রাণীর দেহাংশ গুলি ইতিমধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।