পুজোর পরেই খুলতে পারে স্কুল-কলেজ, পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে শুরু জল্পনা

0
29

উত্তর ২৪ পরগনা: পুজোর পরেই হয়তো খুলে যেতে পারে স্কুল-কলেজ। পাশাপাশি স্কুল খোলা নিয়ে বিকাশ ভবন থেকে বড় ইঙ্গিত মিলেছে। ঠিক এমন টাই জানিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝেই পড়ুয়াদের টিকাকরণ শুরু হতে শুরু হয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন-দর্শকদের জন্য দিওয়ালি গিফটের ঘোষণা করলেন করণ জোহার

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, করোনার হাত থেকে স্কুল পড়ুয়াদের বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকেই দেশের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশের বেশ কয়েটি রাজ্যে স্কুল খুললেও বাংলায় এখনও বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়ের দরজা। পুজোর পরেই স্কুল খোলার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর পরই স্কুল খোলা নিয়ে বিশেষ ইঙ্গিত মিলেছে বলেই অনেকে।

এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সোম ও মঙ্গলবার মোট দু’দিনের কোভিড নাইনটিনের টিকাকরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হল উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় কলেজে। কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই টিকা করনের জন্য তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিস্টারের মোট ১১৬০ জন পড়ুয়ার নাম পাঠানো হয় শিক্ষা দফতরের কাছে।

আরও পড়ুন-ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার দায় কার, জানাল ডিভিসি

পরবর্তীতে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের আওতায় পরা পড়ুয়াদের নাম প্রকাশ করা হয়। অনেকেই আগে থেকে যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এমন অনেকেই রয়েছে যাদের অন্য যায়গা থেকে প্রথম ডোজ নেওয়া হয়েছে অথচ দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা হয়নি, তাদের আর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে এই কলেজে ৭০০ উপরে পড়ুয়াকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে জানান, কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর সুধানথ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ জানান সরকারিভাবে কোনও নির্দেশিকা পাইনি। তবে পুজোর পরেই হয়তো কলেজের পঠন-পাঠন শুরু হতে পারে তাই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হল।

উল্লেখ্য, লকডাউন, আমফান-ইয়াসের মত ঝড় তার সঙ্গে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক স্কুলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কথাও দেওয়াল, দরজা জানালা ভেঙেছে, আবার কথাও স্কুলের ইলেকট্রিক ব্যবস্থা খারাপ হয়েছে। সেই তথ্যই জানতে চাওয়া হয়েছিল। তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যের সেই সমস্ত স্কুলগুলির মেরামতির জন্য রাজ্যপাল ১০৯ কোটি টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছেন। জানিয়ে রাখা ভালো অগাস্ট মাসেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পরেই স্কুল খোলা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার পরেই তোরজোড় শুরু করে বিকাশ ভবন। কোথায় কোথায় স্কুলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলির তথ্য গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসকদের।