ঝুঁকি নিয়ে চলছে খেয়া পারাপার, বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

0
26

সুদেষ্ণা মণ্ডল , দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিন ২৪ পরগনাকে নদীমাতৃক বলা চলে৷ এখানকার বেশকিছু অঞ্চলে এখনও পরিবহণের মূল মাধ্যম জলপথই৷ কিন্তু সেই জলপথে যাতায়াতের পরিবহণগুলি এতটাই নিম্নমানের যে প্রাণহানির ঘটনা প্রায় লেগেই থাকে।

আরও পড়ুন: মমতা জামাকাপড় পাল্টানোর মতো সকাল বিকাল মত পাল্টান, বিস্ফোরক দিলীপ

- Advertisement -

রাজ্য সরকারের ২০১৭ সালের ‘জলধারা প্রকল্প’ অনুযায়ী ‘ভুটভুটি’ (কাঠের তৈরি, অনুন্নত মেশিন, নিরাপত্তার সঠিক ব্যবস্থা যার নেই) যা একসময়ে জল পথে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হতো৷ সেই ভুটভুটিকে রাজ্য সরকার যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ২০১৭ সালে জলধারা প্রকল্প অনুযায়ী বাতিল করে, উন্নত মানের স্টিল বা উন্নত কাঠের পরিকাঠামো এবং উন্নত মেশিন দ্বারা সঠিক নিরাপত্তা দিয়ে গঠিত কোনো মাধ্যমকে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করেন৷

আরও পড়ুন: অভিষেকের জন-সংযোগ যাত্রা, আসলে কি সবটাই আইওয়াশ- প্রশ্ন দলের নেতারই

সেই মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন ফেরি পরিষেবাগুলিতে উন্নতমানের ভেসেল লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু সুন্দরবনের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ফেরী পরিষেবা গোসাবা ও মৌসুমী দ্বীপে, পাথরপ্রতিমার নামখানা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু ফেরিঘাটে যাতায়াতের জন্য এখনো সেই খেয়া নৌকার ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ২০১৭ সালের “জলধারা প্রকল্প” অনুয়ায়ী রাজ্য সরকার ভুটভুটি মালিকদের এই প্রকল্প আওতাভুক্ত করে উন্নত মানের ভেসেল প্রদান করে প্রতিটি ফেরিঘাট মালিকদের। তারপরেও এখনো ভেসেল গুলিকে বসিয়ে রেখে সেই ভুটভুটির মাধ্যমে পারাপার চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু ফেরিঘাটে।

আরও পড়ুন: Horoscope Today : এই সপ্তাহে মা লক্ষ্মীর কৃপা কি আপনার দিকেই, রইল বিস্তারিত

এর প্রতিবাদে ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশনের কর্নধার রাজেশ ক্ষেত্রী এই জলধারা প্রকল্প কার্যকরী করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন৷ হাইকোর্ট সেই আবেদন গ্রহনও করে। অবশেষে হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস টিএস সিভানগন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জলধারা প্রকল্প আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ক্ষেত্রী ফাউন্ডেশনের এই জনস্বার্থ মামলা নৌকাডুবির ফলে অনেক মানুষের প্রান বাঁচাতে স্বার্থক হবে বলে জানাচ্ছেন মামলাকারী আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী। এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকারের তরফে কি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, তবু বাংলার তাপমাত্রা কমছে না কেন, জানুন আসল কারণ