Contai: শুভেন্দুর খাসতালুকে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও চার তৃণমূল কর্মী

0
281

কাঁথি: তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পূর্বমেদিনীপুরে খুন হচ্ছে একের পর এক বিজেপি কর্মী। তদন্তে নেমে এবার বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি খুনের ঘটনায় নতুন করে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ Violence: ভোর রাতে বিকট আওয়াজ, লণ্ডভণ্ড একাধিক দোকান, দুষ্কৃতী তাণ্ডবে প্রশ্নের মুখে পুলিশি ব্যবস্থা

- Advertisement -

শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাজকুল এলাকা থেকে অভিযুক্ত চিন্ময় গিরি, পিন্টু গিরি, অভিজিৎ মণ্ডল ও মাখন গিরিকে গ্রেফতার করা হয়। চার অভিযুক্তই তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে পরিচিত। সোমবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আপিল করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই তৃণমূল নেতা তাপস দলপতিকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Love Story: জন্মদিনে স্ত্রীকে ‘চাঁদের জমি’ তুলে দিলেন প্রেমিক যুবক, নিন্দুকেরা বলছেন আয়কর হানার কথা

এদিকে ভূপতিনগরের দক্ষিণ বড়বড়িয়া গ্রামের বিজেপি কর্মী ভাস্কর বেরা খুনের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাত ভোর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ভুপতিনগর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ভূপতিনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা হল খটিয়াল গ্রামের প্রবাল কুমার মাইতি, বড়বড়িয়া গ্রামের রামপদ জানা ও সুশান্ত কামিলা। গ্রেফতার তিনজনই এলাকায় তৃনমূল সর্মথক হিসাবে পরিচিত। সোমবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আপিল করেছে ভুপতিনগর থানার পুলিশ। বাকী অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

উল্লেখ্য, কালীপুজোর পরেরদিন শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ বিজেপি নেতা চন্দন মাইতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর কেলেঘাই নদীর পাড়ে বেধড়ক মারধর করে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করে ভগবানপুর থানার পুলিশ। অবস্থার অবনতি হলে তমলুক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।

শনিবার কালীপূজা উপলক্ষে ঘট উত্তোলনের সময় বড়বড়িয়া গ্রামের বিজেপি বুথ সম্পাদক ভাস্কর বেরাকে অপহরণ করে নিয়ে পালায় কিছু দুষ্কৃতী। এরপর বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মন্দিরের সামনে থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবিতে মৃতদেহ সামনে ফেলে জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই অভিযুক্তকে আটক করে। পড়ে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হলে আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।