EXCLUSIVE সেলিব্রিটিদের ধৈর্য্য নেই- এ কি বললেন চিরঞ্জিৎ

0
34

বারাসত ও কলকাতা: তিনি এলেন, ক্যারাম খেললেন এবং ফিরলেন একরাশ বিতর্ক তৈরি করে৷

আরও পড়ুন: জন্মদিনে বিশেষ জনের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আবেগে ডগমগ দিলীপ ঘোষ

- Advertisement -

মন্ত্রী বাবুলকে সম্প্রতি রেড কার্ড দেখিয়ে নিজের মন্ত্রিসভার চৌহদ্দির বাইরে বের করে দিয়েছেন গুজরাটের খ্যাতনামা চা-ওয়ালা৷ সেই দু:খেই গায়ক বাবুল রাজনীতিকে সত্যি আলবিদা জানালেন নাকি নেপথ্যে আরও গুঢ় কোনও তত্ত্ব রয়েছে, নাকি সবটাই নাটক, ফের অন্য ফুলে দেখা যাবে তাঁকে- শনিবাসরীয় সন্ধ্যা থেকে পোস্টমর্টেম শুরু করেছেন রাজনীতির ছোট, মেজো, সেজো কারবারীরা৷

আরও পড়ুন: দুই সাংসদ অভিনেত্রীর বন্ধুত্বে ফাটল, আলাদা ‘বোনুয়া’ মিমি-নুসরত

‘ষড়রিপু’র গোয়েন্দা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও বাদ থাকেন কেন? দাবি করলেন, ‘‘সেলিব্রেটিরা এমনটাই করে! তারা যেহেতু রাজনীতির লোক নয়, সেই কারণে তাঁরা রাজনীতির এই চড়াই উতরাই-টা মেনে নিতে পারেন না। আর যখন তাদের সঙ্গে এমনটা হয়, তখনই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নেয়।’’ কেন একথা বলছেন তাঁর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এরপরই বোমা ফাটিয়েছেন, ‘‘সেলিব্রিটিদের অত ধৈর্য নেই, যে দশ বছর অপেক্ষা করে ফের নিজেকে প্রমাণ করে আবার ফিরে আসবে!’’

আরও অনেক কথা বলেছেন৷ কিন্তু কোট আনকোট, ‘সেলিব্রিটিদের অত ধৈর্য নেই’ কথাটিকে কেন্দ্র করেই জন্ম নিয়েছে বিতর্ক৷ অভিনেতা চিরঞ্জিৎ বারাসতের তৃণমূল বিধায়কও৷ এদিন বারাসত শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সারা বাংলা ক্যারাম প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সবুজ সংঘ ক্লাব৷ অংশ নেয় ৩২টি ক্লাব৷ উপস্থিত ছিলেন বারাসতের বিধায়ক তথা নেতা-অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও। প্রতিযোগীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ ক্যারামও খেলেন৷

সেখানেই বাবুল সম্পর্কে একাধিক মন্তব্য শোনা গিয়েছে চিরঞ্জিতের মুখে৷ গায়ক থেকে রাজনীতির জগতে পা রেখেই উল্কার গতিতে সাংসদ থেকে মন্ত্রী বনে যাওয়া এবং মন্ত্রিত্ব খোয়ানো-ধাক্কা সামলাতে না পারা- রাজনীতিকে টা টা বাই বাই ঘোষণা, এই সব প্রসঙ্গকে একত্রিত করে বলতে গিয়ে তিন কুড়ি ছয় পেরানো অভিনেতা বলেন, ‘‘বাবুলকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি৷ আমার ছবিতে ওকে দিয়ে গান গাইয়েছি৷ ওর বাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছি। আমি ওর কুষ্টি করেছিলাম, তখনই বলেছিলাম ওর একটা চেঞ্জ আসতে চলেছে, তবে দেরি হবে বলেছিলাম। সেটাই হল!’’ সরাসরি দাবি করেছেন, ‘‘মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্যই বাবুলের এই সিদ্ধান্ত৷’’ এরপরই সেলিব্রিটিদের ধৈর্য প্রসঙ্গে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন চিরঞ্জিৎ৷

যদিও তাঁর ঘনিষ্টমহলের দাবি, চিরঞ্জিতের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে৷ আসলে উনি বলতে চেয়েছেন, ‘‘বাবুল সেলিব্রিটি৷ মঞ্চে গান গাইতে উঠলে আবারও মানুষের হাততালি পাবেন৷ আবার ওর গান শুনলে মানুষ ওকে বুকে টেনে নেবে৷ সেলিব্রিটির খ্যাতি শীর্ষেই থাকে৷ ফলে ও কেন খামোখা মন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য দশ বছর অপেক্ষা করবে!’’