দুই সাংসদ অভিনেত্রীর বন্ধুত্বে ফাটল, আলাদা ‘বোনুয়া’ মিমি-নুসরত

0
98

পূর্বাশা দাস: অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’। অর্থাৎ বন্ধুত্ব উদযাপনের দিন। সাধারণ জনতা থেকে তারকা সকলের জীবনেই বন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। ‘মেয়েরা মেয়েদের ভালো বন্ধু হতে পারে না’ এই ধারণাকে মিথ্যে করে দিয়ে নিজেদের বন্ধুত্বে শিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি-নুসরত। একে অপরের কাছে তারা ‘বোনুয়া’।

- Advertisement -

এই দুই অভিনেত্রীর এতটা মিল যে দুজনে একসাথে একই বছরে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। সাংসদ নির্বাচিত হয়ে একই সঙ্গে শপথ নিয়েছিলেন সংসদ ভবনে। অবশেষে তাদের বন্ধুত্বও অটুট থাকল না, বন্ধুত্বের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে দুই সাংসদ অভিনেত্রীর মধ্যে।

আরও পড়ুন: টিনসেল টাউনে নায়িকাদের বন্ধুত্বের নজির অটুট রেখেছে ‘কাপুর-অরোরা স্কোয়াড’

মিমি-নুসরত তাদের এই বন্ধুত্ব কখনও চেপে রাখেননি। সমাজ মাধ্যমে তাদের বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে বারবার। নুসরত জাহান যখন তুরষ্কে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে (যদিও পরে নুসরত সেই বিয়ে অস্বীকার করেছেন) আবদ্ধ হয়েছিলেন তখন টলিউডের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন ‘বোনুয়া’ মিমিই। এমনকী নিজের হাতে রান্না করে মিমি নুসরতকে আইবুড়ো ভাত খাইয়ে ছিলেন। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল।

তাদের এরকম মধুর সম্পর্কেও অবশেষে চিড় ধরল। বর্তমানে মিমি-নুসরতের অতটা সখ্যতা লক্ষ্য করা যায় না। এর নেপথ্যের আসল কারণ যদিও অজানা। তবুও কানাঘুষো শোনা যায় যে নুসরতের নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্ক অস্বীকার এবং যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের নতুন সম্পর্কের গুঞ্জন মিমি-নুসরতের বন্ধুত্বের মধ্যে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিখিল-নুসরত-যশ বিতর্কে প্রথম দিকে একেবারে ‘স্পিকটি নট’ ছিলেন নুসরতের ‘বেস্টি’ মিমি। পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে মিমি জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার খবর নুসরত প্রথম জানিয়েছিলেন তাকেই।

আরও পড়ুন: মিমি-মৈনাক ম্যাজিকে তৈরি হতে চলেছে নতুন ছবি ‘মিনি’

তারপরেও কোনও অজানা কারণে এই দুই সাংসদ অভিনেত্রী মাখোমাখো বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে। উপরন্তু নুসরত এখন শ্রাবন্তী, তনুশ্রীর সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। নুসরত বিতর্কের মধ্যে একবারও একসাথে দেখা যায়নি এই দুই সাংসদ অভিনেত্রীকে।