এক ইউনিট রক্তের জন্য রাত জেগে ধর্না, তবু মিলছে না 

0
38
blood

জলপাইগুড়িঃ রাত পোহালেই অপারেশন। প্রয়োজন রক্তের (blood)। জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কই (blood bank) একমাত্র ভরসা। অভিযোগ সেখানে গিয়েও মিলছে না রক্ত। রাত জেগে এক ইউনিট রক্তের জন্য ধর্না দিচ্ছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। রীতিমত দিশেহারা অবস্থা। চরম ভোগান্তি। অভিযোগ এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা পরিবারগুলিকে ভরসা যোগাচ্ছে এক শ্রেণির দালালচক্র। সে আরেক বিপত্তি। দালালচক্রের ফাঁদে পড়ে অনেক কিছুই খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

মাঝেমধ্যেই এই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ” রক্ত নিয়ে কালোবাজারি চলছে। কোনও হেলদোল নেই স্বাস্থ্য কর্তাদের ।” আরও অভিযোগ, ”রক্ত সংগ্রহ করার জন্য বিভিনি ক্লাব থেকে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্মীরা। রক্তদান শিবির আয়োজকদের টিফিন সহ আয়োজনের টাকা ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না।” পাশাপাশি রক্তদান নিয়ে কোন সচেতনতার প্রচারও করা হচ্ছে না।

- Advertisement -

জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির হাল বেহাল। প্রায়শই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির (blood bank) বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি রক্ত না মেলায় SSKM হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। ব্লাড ব্যাঙ্কের একজন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন এক রোগীর বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, SSKM এর ব্লাড ব্যাঙ্কে সেই গ্রুপের রক্ত ছিল না। এই নিয়েই রোগীর পরিবার এবং কর্মীদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। ভাঙচুর করা হয় ব্লাড ব্যাঙ্কের ভেতর। রোগীর পরিবারের সাতজন মিলে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ এক দু’দিনের শিশুকন্যার জন্য রক্তের খোঁজ করছিলেন তার পরিজনরা। তার বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। জানা গিয়েছে, রোগীর পরিজনরা রক্তদাতাকেও সঙ্গে করে নিয়ে এলেও রক্ত পাননি। এদিকে, SSKM হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার খোদ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, রক্তদাতার থেকে রক্ত নিয়ে শিশুকে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। এরপরই ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় তাদের। উত্তেজিত পরিজনরা ভাঙচুর শুরু করেন SSKM হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। পিজির মতো সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না পেয়ে এই ধরণের অশান্তির ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় শহরে।