মন খারাপের বারমাস্যা: ঢাক কাঁধে তৈরি প্রমীলা বাহিনী, তবু নেই বায়না

0
108

হাবড়া: দুর্গাপুজো মানেই ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ। পুজো হবে আর ঢাক বাজবে না! গত কয়েক বছর ধরে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মহিলা ঢাকির চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। বলা চলে পুরুষদের থেকে মণ্ডপে মহিলা ঢাকিদের উপস্থিতি বাড়তি নজর কাড়ছিল উদ্যোক্তা থেকে দর্শকদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি যেন সেই চিত্রটা পাল্টে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সরকারি নিয়মের গেরোয় মার খাচ্ছে ব্যবসা, আন্দোলনে ডেকোরেটর কর্মীরা

- Advertisement -

করোনা আবহে পুজো উদ্যোক্তারা আরম্ভর থেকে কার্যত হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। পুজো উদ্যোক্তাদের হাত এ বার তুলনায় ফাঁকা। বড় বাজেটের পুজোগুলির জৌলুস কমানোর রাস্তায় হেঁটেছে। অনেক জায়গায় অডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ঢাকের বাজনা শোনা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বরাত না পেয়ে সমস্যায় মহিলা ঢাকিরা। সারা বছর সংসার সামলানোর পাশাপাশি, পুজোর সময়ে ঢাক বাজিয়ে তাঁদের বাড়তি রোজগার হয়।দুবছর আগেও পাড়া পাড়ায় পুজো, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, কিংম্বা রাজনৈতিক দলের প্রচার অথবা সরকারি প্রকল্পে সচেতনতা মূলক প্রচার… সর্বত্রই দেখা যেত মহিলা ঢাকিদের। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্যেও কদর বারছিল তাঁদের। কিন্তু দেড়বছর ধরে পুজোর সপ্তাহখানেক আগেও কোনও পাকা বরাত নেই ঝুলিতে, এমনটাই জানিয়ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কের মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু

করোনা গত দেড় বছরে সব ছারখার করে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ার বাণীপুর এলাকায় অশোকনগরের কয়াডাঙ্গা এলাকার অমূল্য চন্দ্র নন্দী রিদিম মিউজিক কলেজ নামে একটি ঢাক প্রশিক্ষন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঢাকিরা সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। ।পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু আবেদন করেন তাঁরা।

বছর চারেক আগে থেকে পথ চলা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫০থেকে ৬০ জন মহিলা ঢাকি। এছাড়াও ৩০ থেকে ৩৫ জন পুরুষ ঢাকি। প্রত্যেকেরই একই সমস্যা। করোনা আবহে এবার তেমন বায়নাও হয়নি, কোনও সরকারি প্রোগ্রাম মেলেনি। ঢাক শিল্পীদের আবেদন, ঢাকের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে যেন সাহায্য করে সরকার। এছাড়াও তাঁরা বলেন, কেউ উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক ঢাকি শিল্পীরা ভ্যাকসিন দিতে পারেনি তাই শেষ মুহূর্তে কোন বায়না হলেও না ছেড়ে দিতে হয়, এমনটাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অশোকনগরের এই ঢাকি সংস্থার সম্পাদক সজল নন্দীর।