সরকারি নিয়মের গেরোয় মার খাচ্ছে ব্যবসা, আন্দোলনে ডেকোরেটর কর্মীরা

0
40

ইসলামপুর: করোনা আবহে সঙ্কটে দিন কাটছে কম-বেশি সকলেরই। ছোট ব্যবসায়ী থেকে বড় ব্যবসায়ি সকলেই বিপদে পড়ছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে ধুঁকছে রাজ্যের ডেকোরেটর শিল্প । এই পরিস্তিতিতে বাইক মিছিল করে প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিয়ে বিক্ষোভ সভা করল ডেকোরেটররা।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কের মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু

- Advertisement -

করোনা আবহে বর্তমানে ডেকোরেটর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ-লক্ষ মালিক এবং কর্মীরা চরম সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অভিযোগ, করোনা আবহে সরকারি নির্দেশিকার জেরে ব্যাপকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ডেকোরেটর মাইক ও ফুল ব্যবসায়ীরা। কারণ করোনার আগে যত সংখ্যক অনুষ্ঠান হত, এখন তা হয় না। হলেও সেই অনুষ্ঠানে ৫০ এর জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেনা, এমনটাই জানানও হয়েছিল। এমনকি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না তাদের জন্য।

আরও পড়ুনঃ সাপের কামড়ে মৃত্যু ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর

তাঁরা বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে লকডাউন ব্যবস্থা অনেকটাই শিথিল হয়েছে। ট্রেন-বাস চলছে, বাজারহাট সবকিছুই খোলা রয়েছে। কিন্তু কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক থাকার অনুমতি এখনও পর্যন্ত দেয়নি সরকার। আমাদের দাবি সবকিছুই যখন চলছে তাহলে সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন থাকার বিধি নিষেধও শিথিল করতে হবে। যাতে আমরা অনুষ্ঠান বাড়ির কাজগুলি করতে পারি।

বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে পঞ্চাশ জনের যে করোনা বিধির নির্দেশিকা তা শিথিল না করা পর্যন্ত এই শিল্প মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। এর জেরে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছ্র এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষদের। আর তাই সরকারিভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বঞ্চনার বিষয়টিকে সামনে রেখে সোমবার একদিনের প্রতীকি ধর্মঘট পালন করেন ডেকোরেটররা। পাশাপাশি অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে স্বজনপোষণ চলছে। যারা ট্রেড লাইসেন্স ধারী তাদেরকেই টেন্ডার দেবার কথা বলেছেন তিনি। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে পুজোর পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে তারা সামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব দেবাশিস পাল জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জিএসটি আঠেরো শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে এবং অবিলম্বে পঞ্চাশ জনের বিধি শিথিল করতে হবে। জায়গা বেশি থাকলে সেখানে পঞ্চাশ জনের অধিক মানুষদের নিয়ে কর্মসূচির সুযোগ দিতে হবে।’