তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ফের অনন্ত মহারাজ, নতুন করে শুরু রাজনৈতিক তর্জা

0
25

নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: ফের শিরোনামে অনন্ত মহারাজ (Anant Maharaj)৷ তৃণমূল পরিচালিত ঐতিহ্যবাসী রাস মেলা উদ্বোধনে তাঁর দেখা মিলল৷ ফের রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে৷ কারণ তিনি রাজ্য ভাগের ডাক দিয়েছেন৷ যদিও তাঁর দাবিকে সমর্থন করছে না তৃণমূল৷ এমনটাই দাবি দলের৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তবে তৃণমূলের প্রতিটা অনুষ্ঠানে অনন্ত মহারাজের ভূমিকাটা কি?

জানা গিয়েছে, কোচবিহারে উদ্বোধন হল ঐতিহ্যবাহী রাস মেলার। মেলার উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ৷ রাস মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে তৃণমূলের একঝাঁক নেতৃত্বদের মাঝে দেখা গেল দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজকে।

- Advertisement -

এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পৃথক রাজ্যের দাবিকে কোনভাবেই সমর্থন করে না সেখানে অনন্ত মহারাজের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা৷ বিগত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে অনন্ত মহারাজকে সরাসরিভাবে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল৷

আগা গড়াই পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন অনন্ত মহারাজ। কয়েকদিন আগেও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন তিনি৷ এবং বৈঠক শেষে পরিষ্কার ভাষায় জানান পৃথক রাজ্য হতে শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেও অনন্ত মহারাজের সঙ্গে কেন ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। উঠছে প্রশ্ন৷

কিছুদিন আগেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনন্ত মহারাজের কাছে ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। এবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আমন্ত্রণে রাসমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে অনন্ত মহারাজ।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনন্ত মহারাজকে বিভিন্নভাবে কাছে টানার চেষ্টা করলেও এদিনের রাস মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে নেমেই তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, কোনো শাসক দলের ধারে কাছে নেই তিনি। রাস মেলা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাই তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত, অনন্ত মহারাজের এই বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন এখনও তার সমর্থন বিজেপির সঙ্গেই রয়েছে। অনন্ত মহারাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চাইলেও তা সফল হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অনন্ত মহারাজের এই বক্তব্যের পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কর্মীরাই একমাত্র ভোটকেচার। তারা যদি একসঙ্গে থাকে তাহলে আর অন্য কারো ভোটের প্রয়োজন নেই।’’