‘রেল রোকো আন্দোলন’ উঠলেও চলছে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি

0
36

বাঁকুড়া: ১২০ ঘন্টা পর কুড়মি সমাজের রেল রোকো আন্দোলন তুলে নেওয়া হলো। কিন্তু শারদোৎসবের আগে দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি চলছেই। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। গত শুক্রবার থেকেই ১২৫ জন অস্থায়ী কর্মী দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপোর সামনে লাগাতার কর্মবিরতিতে বসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে গণ পরিবহন ক্ষেত্রেও।

আরও পড়ুন-এয়ারফোর্স ট্রেনির মৃত্যু, ৬ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের

- Advertisement -

শাসক দলের পতাকা নিয়ে আন্দোলনে বসা ওই পরিবহন সংস্থার কর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে, স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমবেতন, সবেতন ছুটি, প্রতি মাসে ন্যুনতম ২৬ দিন কাজ, ছাঁটাই কর্মীদের পূনর্নিয়োগ সহ ৭ দফা দাবিতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় অবশেষে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে সংস্থার বাঁকুড়া ডিপোর সামনে অবস্থান আন্দোলনে বসতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, তাদের কাজের কোন নিশ্চয়তা নেই, ‘নো ওয়ার্ক নো পে’। এমনকি কোন সবেতন ছুটির সংস্থান নেই। সংস্থার কাছে বারবার আবেদন নিবেদন জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। চরম আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ‘অস্থায়ী’ কর্মীদের। এদিন এই সংস্থার কোন অস্থায়ী কর্মী কাজে যোগ দেননি, প্রয়োজনে দাবি আদায়ে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে তারা নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন-একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ PFI-RSS ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

একইসঙ্গে পাশের জেলা পুরুলিয়ায় কুড়মিদের রেল রোকো তুলে নেওয়া হলেও বাঁকুড়ায় কর্মবিরতিতে অনড় দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কর্মীরা। ফলে সাধারণ যাত্রীদের দূর্ভোগ বাড়ছে। কবে সব স্বাভাবিক হবে? এই প্রশ্নই এখন জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাই একটার পর একটা সংস্থা খোঁড়া যাচ্ছে। তাই তৃণমৃল সরকারের বিরুদ্ধেই তাদের শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন করছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে প্রশাসনের কেমন দুর্নীতি। একের পর এক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই।”