বিধায়কের উপস্থিতিতেই হামলা, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে পাল্টা CPIM এর দিকে আঙুল BJP-র

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ পরস্পরের বিরুদ্ধে।

0
58
tripura BJP CPIM chaos

খাসডেস্ক, ত্রিপুরাঃ ভোটের মুখে ফের বিজেপি (BJP) ও সিপিআইএম (CPIM) সংঘর্ষে উত্তপ্ত ত্রিপুরা (tripura)। ত্রিপুরার সোনামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন মেলাঘর এলাকার ঘটনা। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ পরস্পরের বিরুদ্ধে। আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন :প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার বৃদ্ধ

- Advertisement -

এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করে সিপিআইএম (CPIM)। প্রার্থী তথা বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রচার শুরু করে লাল শিবির। অভিযোগ প্রচার চলাকালীন শাসকদল বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলে পড়ে। এমনকি সিপিআইএম প্রার্থীর উপরও লাঠি দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়। বাম কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই বেঁধে যায় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি কর্মীকে দেখে কটূক্তি করেছিল বাম কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় বিজেপির সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বাম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বামেদের আক্রমণে আহত হয়েছেন ৪ জন বিজেপি কর্মী।

আরও পড়ুন :ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে ড্রিম গার্ল হেমা

আরও পড়ুন :SSC Group D তে কবে থেকে নিয়োগ, কী জানাল কমিশন

এদের মধ্যে দু’জন বিজেপি কর্মীকে আগরতলার প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিপি হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বক্তব্য বিধায়ক তথা সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী শ্যামল চক্রবর্তীর উপস্থিতিতেই চলেছে বিজেপি কর্মীদের উপর এই আক্রমণ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাদের হস্তক্ষেপে পরবর্তী সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।প্রসঙ্গত আসন্ন ভোট নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে একাধিক সংঘর্ষের খবর। কখনও প্রচার মিছিলে কখনও প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছে। একদিকে যেমন সিপিএম হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অন্যদিকে বিজেপি তার আসন ধরে রাখতে তৎপর। এই বছর তৃণমূলও ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে (tripura assembly election) অন্যতম ফ্যাক্টর। এদিন ত্রিপুরায় এক্সিট পোল ও ওপিনিয়ন পোল নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটকে (tripura assembly election) সামনে রেখেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জেলাশাসক অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরন গিত্যে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা এরিয়ে চলতেই নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।