অধিক পেশাদারিত্ব কেড়ে নিচ্ছে সমর্থকদের আনন্দ, যুবভারতীর গ্যালারিতে চেনা ছবি উধাও

0
233

স্পোর্টস ডেস্ক: কলকাতা ডার্বি, ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। ময়দানের চিরন্তন লড়াই, চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই লড়াই, এই ডার্বি শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের কাছে এ এক উৎসব বটে। যে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় ডার্বির অনেক আগে থেকে। পোস্টার তৈরি, পতাকা-জার্সি কেনা, স্লোগান তৈরি। ডার্বির কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই যুবভারতীতে পৌঁছে যায় দর্শকের মেলা। টেম্পো গাড়ি চড়ে মাঠে আসার পথে দুই দলের সমর্থকদের একে অপরকে ছুড়ে দেওয়া কটাক্ষ। সেই চেনা দৃশ্য আজ যুবভারতীর ফিরতি ডার্বিতে উধাও।

যুবভারতীতে ডার্বির ইতিহাসে এত ফাঁকা গ্যালারি বোধহয় আগে কখনও দেখা যায়নি। এই ম্যাচ শুরুর আগেই ‘বয়কট ডার্বি’র ডাক উঠেছিল কলকাতা ময়দানে। এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা গ্যালারি ভরালেও লাল-হলুদ গ্যালারি প্রায় ফাঁকা। অল্প সংখ্যক সমর্থক মাঠে এসেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে নেই তেমন কোনও উচ্ছ্বাস। বস্তুত, ডার্বির আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মাঠের বাইরের লড়াই। এমনিতেই ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান হকি ডার্বির পর উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। এবার আইএসএলে ফিরতি ডার্বির আগে টিকিট নিয়ে বিবাদ। টিকিট নিয়ে ইনভেস্টরের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: আটে আট, ফিরতি ডার্বি জয় দিয়ে মরশুম শেষ সবুজ মেরুন ব্রিগেডের

ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের ভিভিআইপি এবং ভিআইপি টিকিট পাঠালেও তা যথেষ্ট কম সংখ্যক। এ হেন ‘অপমানের’ জেরে ডার্বি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ভিভিআইপি বা ভিআইপি টিকিট আয়োজক ইনভেস্টরকে ফেরত দিয়ে দেয় মোহনবাগান ও আইএফএও। অপর দিকে সবুজ মেরুন গ্যালারিতে চোখে পড়ল চেনা ‘রিমুভ এটিকে’ প্রতিবাদ। মাঠের বাইরে পোস্টার পড়েছে, ‘যেদিন এটিকে সরবে, সেদিন মাঠ ভরবে।’ প্রশ্ন উঠছে, আইএসএলের এত পেশাদারিত্ব, ক্লোজ ডোর প্র‍্যাক্টিসের জেরে কী হারিয়ে যেতে বসেছে সমর্থকদের চেনা উত্তেজনা?

ময়দানে কান পাতলে শোনা যায়, সমর্থকেরা চাইছেন শুধু যুবভারতী নয়, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মাঠে শুরু হোক ম্যাচ। দর্শকদের অবাধ বিচরণ থাকুক। ইনভেস্টর, পেশাদারিত্ব, এই সবের মাঝে কোথাও যেন দর্শকদের উন্মাদনাই হারিয়ে যাচ্ছে। ‘রিমুভ এটিকে’ -র জন্য এমনিতেই সবুজ মেরুন গ্যালারি বেশিরভাগ ম্যাচে ফাঁকা থাকে। এবার লাল-হলুদ সমর্থকরাও যদি মুখ ঘুরিয়ে নেয় তাহলে তো ময়দানের ঐতিহ্যই হারিয়ে যাবে। সমর্থক ছাড়া কলকাতা ময়দানের আর কীই বা অস্তিত্ব থাকতে পারে?