Exclusive: ৬০ এর দশকে আমরা সুভাষ দাকে দেখে বড় হয়েছি, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়

0
226

কলকাতা: প্রয়াত ভারত তথা দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের হয়ে খেলা সুভাষ ভৌমিক। শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানে। সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই একবালপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার ভোররাতে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। প্রিয় সুভাষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মোহনবাগান সচীব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। খাস খবরের তরফ থেকে ফোনে সত্যজিৎ বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুঃখভরা গলায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সুভাষ দা অসাধারণ মানুষ, অসাধারণ ফুটবলার, অসাধারণ কোচ। ভারতবর্ষের ফুটবলে একজন কিংবদন্তি তিনি। এই ক্ষতি কোনওদিন পূরণ হবে না। এত অপূরণীয় ক্ষতি ভাবা যায় না। ৬০ এর দশকে আমরা সুভাষ দাকে দেখে বড় হয়েছি। সুভাষ দা দ্বিতীয় হবে না কোনদিনই।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন: Exclusive: সমরেশের থেকে বাঁ পায়ের সুইং শিখেছিলেন সুভাষ, স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন সতীর্থ

সুভাষ ভৌমিক ফুটবলার হিসেবে সত্তরের দশকের ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচগুলির নক্ষত্র ছিলেন। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৬৯টি ম্যাচ খেলেছেন। শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, কোচ হিসেবেও নিজের খ্যাতির ইমারত গড়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। বিদেশের মাটিতে প্রথম সফল ভারতীয় ফুটবল কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কোচ জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি ২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপ জয়। ময়দানে তিনি ছিলেন সকলের প্রিয় ভোম্বল দা।

আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick : প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক 

সুভাষ ভৌমিকের অসুস্থতা নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সুভাষ ভৌমিকের ভবিষ্যৎ এর চিকিৎসার পরিকল্পনা কী সেই বিষয়ে এই বৈঠক হয়েছিল। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যের মতো ফুটবলাররা। এই কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলারের অনুরোধেই রাজ্য সরকার এই বৈঠক ডেকেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।