Exclusive: সমরেশের থেকে বাঁ পায়ের সুইং শিখেছিলেন সুভাষ, স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন সতীর্থ

0
3353

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি, কলকাতা: সারা ময়দান তাঁকে এক নামে চেনে। “ভোম্বলদা”। উল্টোদিকে ময়দানের এক একটি ঘাসকে তিনিও হাতের তালুর মত চিনতেন। জানা গল্পের মাঝে কত অজানা অধ্যায়। সদ্য প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তাঁরই ছিটেফোঁটা তুলে ধরলেন এককালের সতীর্থ সমরেশ চৌধুরী।

আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick : প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক 

- Advertisement -

বর্ণময় কোচ তথা বর্ণময় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পরপরই খাস খবরের তরফে ফোনে ধরা হয় সমরেশবাবুকে। কথা বলতে বলতে তিনি যেন হারিয়ে গেলেন ছেলেবেলায়। সেই ১৯৬৫ সালে। “তখন আমাদের ১৩-১৪ বছর বয়স। সুভাষেরও তাই। আমরা অল ইন্ডিয়া স্কুল প্রতিযোগিতায় খেলেছি”, বলেন “এশিয়ান গেমস বা অন্যান্য খেলা নিয়ে এত কথা হয়। কিন্তু এই স্কুল লেভেল থেকেই সুভাষের ছিল বিস্ময়কর প্রতিভা।”

এরপরই হতাশা এবং ক্ষোভ একত্রে ঝরে পড়ে সমরেশবাবুর কন্ঠে। শুধু তো বিস্ময়কর ফুটবল প্রতিভা নন। সুভাষ ভৌমিক যেন কোচিংয়ের এক জলজ্যান্ত পরিভাষা। এত সাফল্য, অথচ এরপরেও সেভাবে সুযোগ পেলেন কোথায়?

প্রাক্তন সতীর্থের কথায়, “আমাদের ভারতীয় ফুটবলের ধারাই এই। সবাই কেবল বিদেশীদের পিছনেই ধাওয়া করেন। এদিকে সুভাষ এত সফল একজন কোচ। অসিয়ান ট্রফি জিতেছেন, এছাড়াও একাধিক সাফল্য। ভারতের দুর্ভাগ্য, সেইসঙ্গে লজ্জাও যে এরপরেও জাতীয় ক্ষেত্রে তাঁকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হল না।”

আজ গোটা ময়দান “সুভাষিত”। সমরেশ চৌধুরীর মত প্রাক্তন সতীর্থদের স্মৃতি তো বটেই। ভাগ করে নিলেন খেলোয়াড় জীবনের একটি অভিজ্ঞতা।

১৯৭৩ -র আইএফএ শিল্ডে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে খেলছে ইস্টবেঙ্গল। জয় আসে ৩ গোলে। যার মধ্যে ২ গোলই ভোম্বল ভৌমিকের। সমরেশবাবু জানান, “একটি গোল বাঁ পায়ের সুইংয়ে করেছিল। আমি অবাক হয়ে যাই। কারণ ওঁর ডান পায়ের অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু বাঁ পা? জিজ্ঞেস করতে ও হেসে জবাব দিয়েছিল— ‘এটা তোর থেকেই শিখেছি।'”

আরও পড়ুন: U19 WC: বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত ৬ ভারতীয়, সুযোগ পেলেন বাংলার ক্রিকেটার

আবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সমরেশ। “এমনই ছিল সুভাষ। নিজের এত গুণাবলী সত্বেও কখনওই অন্য অপরের কৃতিত্ব স্বীকার করতে ভোলেনি।”