পার্থর নির্দেশে বদলে গেল মিছিলের স্লোগান

0
145

কলকাতা: ‘‘মুষ্টিমেয় মাত্র কয়েকজনের ভুল কাজে যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হয় বা মানুষের অসুবিধা হয় নিশ্চিতভাবে দল সেই কাজকে সমর্থন করবে না। আইন আইনের পথেই চলবে৷’’ আগাম দলের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে ‘হোক প্রতিবাদ’ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ বিকেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকায় মিছিল করার কথা ছিল দলীয় কর্মীদের৷ তার আগেই পাল্টা পোস্টে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ধরণের কর্মসূচি না করার পরামর্শ দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

বস্তুত, এদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ তারপরও কর্মীদের সতর্ক করে পার্থবাবুর এহেন পোস্টকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ ওই মহলের মতে, তদন্তের শুরুতেই এভাবে রাস্তায় নেমে মিছিল করে তদন্তকারীদের আক্রমণ করা হলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে৷ সেই আশঙ্কা থেকেই এমন সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকতে পারে৷

- Advertisement -

বস্তুত, বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগে বৃহস্পতিবারই জঙ্গলমহল থেকে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়তে সিবিআই হেনস্থার প্রতিবাদে নেট মাধ্যমে সরব হন অনুগামীরা৷ তাঁরা সোশ্যাল সাইটে পোস্টারে, ‘হোক প্রতিবাদ’ স্লোগান লিখে আজ বিকেল ৪টেয় পার্থের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে মিছিলের ডাক দিয়েছিল৷ এদিন বিকেল ৪টের কিছু আগে পাল্টা হিসেবে পার্থবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট সামনে আসে৷ তাতে লেখা হয়, ‘অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ ফেসবুকে হোক প্রতিবাদ নাম করে পোস্ট করছেন। অবিলম্বে এই ধরনের পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলুন। মা-মাটি- মানুষের সরকারের উন্নয়েনের ১১ বছরের সমর্থনে মিছিল, কিন্তু অন্য কোনও বিষয় যেন না আসে। আমি সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মীর কাছে সেই আবেদন জানালাম।’

এরপরই পার্থের নির্দেশ মেনে মিছিলের স্লোগান বদলে যায়৷ তবে মিছিলে হাঁটা পার্থ অনুগামীরা অবশ্য সরব হন, সিবিআই হেনস্থার বিরুদ্ধে৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে পার্থের সমর্থনে হওয়া এদিন মিছিলে উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ মিছিলে হাঁটা প্রতিবাদীদের বক্তব্য, দাদাকে ফাঁসাতেই এহেন পোস্টার সাঁটা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: খারিজ পার্থের রক্ষা কবচের আবেদন, বাড়ছে গ্রেফতারির সম্ভবনা