শিব-শক্তির মিলনের দিন, মহাশিবরাত্রির পৌরাণিক তাৎপর্য জেনে নিন

শিব এবং শক্তি। দুই ছাড়াই জগত-সংসার অচল। কারণ উভয়ের মিলনেই এ বিশ্ব সংসার এবং সমস্ত প্রাণের সৃষ্টি।

0
184

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: শিব এবং শক্তি। দুই ছাড়াই জগত-সংসার অচল। কারণ উভয়ের মিলনেই এ বিশ্ব সংসার এবং সমস্ত প্রাণের সৃষ্টি। একটি মত অনুযায়ী, সেই ধারণা থেকেই মহাশিবরাত্রি’র ধারণাটি এসেছে।

আরও পড়ুন: দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো কেন শিবলিঙ্গে করা হয়, নেপথ্যে যে ব্যখ্যা

- Advertisement -

শিবপুরাণে বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। শিব-সতী, অতঃপর দক্ষযজ্ঞে’র কাহিনী আমরা সকলেই জানি। এরপর শিবের প্রলয়নৃত্য এবং সতীর একান্ন পীঠের অধ্যায়ও কারও অজানা নয়।

শিবরাত্রি কথার অর্থ হল, শিবের রাত্রি। শিবপুরাণে বলা হয়েছে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণা অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী সেই দিন। এই তিথিতেই সতীকে হারিয়ে প্রলয় নাচন নেচেছিলেন ভোলা মহেশ্বর। কিন্তু এতেই শেষ নয়। দিনটির আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে। বা বলা যায়, মাহাত্ম্য।

আরও পড়ুন: গোপাল এবং গণেশ: ঈশ্বরত্ব ছাপিয়ে মায়ের দুই কোলের ছেলে

ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণা চতুদর্শীতে শিব তাঁর শক্তি সতীকে হারিয়েছিলেন। আবার এই একই তিথিতে পার্বতীরূপে পুনরায় মিলিত হন নিজের শক্তির সঙ্গে। হ্যাঁ, শিবরাত্রির দিনই বিয়ে হয় মহাদেব এবং গিরিবাজ হিমালয়ের কন্যা পার্বতী। সেই থেকেই মহাশিবরাত্রি’র দিনটিকে পুরুষ এবং প্রকৃতির মিলনের দিন মনে করা হয়। শিব হলেন পুরুষ, যিনি মননশীলতার প্রতীক। অন্যদিকে শক্তি অর্থাৎ পার্বতী স্বয়ং প্রকৃতি। দুয়ে মিলিত হলে তবেই সৃষ্টি হয়।