টিকাই রক্ষাকবচ, ২৩ কোটি মানুষ পেয়েছেন ভ্যাকসিন: মোদী

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র ঢাল হল টিকা৷ ভ্যাকসিন সরবরাহে গতি আনতে সব চেষ্টাই করছে সরকার৷

0
17

নয়াদিল্লি: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর ভাষণের অনেকটা অংশ জুড়েই শুধু টিকার উল্লেখ৷ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র রক্ষাকবচ হল টিকা৷ এখনও অবধি ২৩ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন৷ ভ্যাকসিন সরবরাহে গতি আনতে সব চেষ্টাই করছে সরকার৷ বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে৷ এই মুহূর্তে দু’টি ভ্যাকসিন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে৷

নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ মানেই বড় ঘোষণা৷ হলও তাই৷ সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত দুটি বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ প্রথম ঘোষণা, ১৮ ঊর্ধ্ব বয়সীরা বিনামূল্যে টিকার ডোজ পাবেন৷ দ্বিতীয় ঘোষণা, আর দু’সপ্তাহ পর রাজ্যগুলিকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র৷

- Advertisement -

এবছর ১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিন বণ্টন ব্যবস্থা কেন্দ্রের হাতেই ছিল৷ কিন্তু তারপরই রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়৷ স্বাস্থ্য যেহেতু রাজ্যের ব্যাপার, তাই টিকাকরণর বিষয়টি রাজ্যের উপর ছেড়েছিল কেন্দ্র৷ তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়৷ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি কেন্দ্র ও রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ করে৷ মূলত অবিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়৷ তার জেরে কিছুটা দাম কমায় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি৷

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে বিরোধী নেতাদের এবং আদালতের কাছ থেকে কড়া সমালোচনা হজম করার পর অবশেষে টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেন নরেন্দ্র মোদী৷ এর ফলে, রাজ্যগুলি আগের মতোই কেন্দ্রের কাছ থেকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৮ জুন থেকে রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে সরকার৷ দেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ টিকা কিনবে ভারত সরকার৷ সেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে৷ বাকি ২৫ শতাংশ টিকা কিনবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ সেখান থেকে দাম দিয়ে ডোজ নিতে হবে নাগরিকদের৷