মরেও রেহাই নেই! মৃত ব্যক্তির চোখ ও গালের মাংস উধাও

0
48

বিক্রম কর্মকার, আগরতলা: মরেও রেহাই নেই! মৃত ব্যক্তির চোখ ও গালের মাংস উধাও! নাহ্, পশ্চিমবঙ্গ নয়, এবার মৃতদেহের মাংস খুবলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার সাক্ষী থাকল প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরার ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের মর্গ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। একই সঙ্গে স্পষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি৷

আরও পড়ুন: গ্রেফতার কুড়মি নেতা রাজেশ, পুলিশ মন্ত্রী মমতার ক্লিনচিটকে পাত্তা দিল না জেলা পুলিশ?

- Advertisement -

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে পানিসাগরে একটি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন এক স্কুটি চালক৷ স্থানীয়রাই তাঁকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ শুরু হয় চিকিৎসা। এরপর রাতেই মৃত্যু ঘটে সুমেশ রায় নামে দুর্ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তির। রাতেই পরিবারের লোকজন মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ, চিকিৎসকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, আইনগত কারণে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন: ভোট ব্যাঙ্কের কারণেই কুড়মিদের আদিবাসী করার প্রচেষ্টা? আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আদিবাসী সমাজের

ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়৷ আজ রবিবার ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজন ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিতে আসেন৷ তখনই তাঁরা দেখেন, যে মৃত ব্যক্তির ডান দিকের চোখ নেই ও গালের বেশ কিছু অংশে মাংস নেই । সেই জায়গা দিয়ে তাজা রক্ত বের হচ্ছে। এই ঘটনা দেখে পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷ কাদের ভুলে এমন ঘটনা ঘটল, অবিলম্বে তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান৷ শুরু হয় বিক্ষোভ৷ পুলিশ উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ তবে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে শুভেন্দুর ভোট অ্যাডভান্টেজ রুখতেই প্রকাশ্যে মাথা নত করলেন মুখ্যমন্ত্রী ? চর্চায় রাজনৈতিক মহল

আরও পড়ুন: Weather Update: বর্ষার আগে গরমের শেষ কামড়, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি