খাস প্রতিবেদন: তিনি মুখ্যমন্ত্রী৷ পুলিশ মন্ত্রীও বটে৷ শনিবার শালবনির সভা থেকে তাঁর দাবি ছিল, ‘কুড়মি ভাইয়েরা নয়, অভিষেকের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল বিজেপি৷’ মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি ২৪ ঘণ্টাও পেরালো না৷ তারই আগে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতোকে৷ ওই হামলার ঘটনায় রাজেশের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাতো-সহ আরও তিনজনকে৷ স্বভাবতই, পুরো ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে জঙ্গলমহলে৷ কুড়মি সমাজের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশ তবে কি মানছে না খোদ জেলা পুলিশ৷ নাকি মঞ্চে বলা হচ্ছে এক, আর থানায় নির্দেশ যাচ্ছে অন্য?
বস্তুত, কুড়মি নেতা রাজেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের বনপুর হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক। অভিষেকের কনভযে হামলার দিনেই তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সুদূর কোচবিহারের চামতা আদর্শ হাই স্কুলে বদলির নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিরোধীদের ভাষায় সরকারের প্রতিহিংসা৷ আন্দোলন ভাঙার নোংরা প্রয়াস৷ বস্তুত, অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় শুক্রবারই পুলিশ চারজন কুড়মি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেদিন আটক করা হয় রাজেশকে৷ এবার গ্রেফতার৷ স্বভাবতই, পুরো ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে কুড়মি সমাজের অন্দরে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: Horoscope Today: দাম্পত্যে কলহ নাকি প্রেম, কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
আরও পড়ুন: Weather Update: বর্ষার আগে গরমের শেষ কামড়, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি
তাঁরা বলছেন, যেখানে স্বয়ং মুখমন্ত্রী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, এই কাজ কুড়মি ভাইয়েরা করেনি, সেখানে কোন সাহসে পুলিশ আমাদের নেতাকে গ্রেফতার করে? ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও দেখছেন তাঁরা৷ যদিও পুলিশের দাবি, এফআইআরে ১৫ জনের নাম ছিল৷ প্রথমে চারজনকে গ্রেফতরা করা হয়েছিল৷ পরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজেশ সহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ জেলা তৃণমূলের কোনও নেতা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি৷ তবে পুলিশি এই পদক্ষেপের জেরে ফের নতুন করে জঙ্গলমহল না উত্তপ্ত হয়ে ওঠে- শঙ্কায় খোদ ওয়াকিবহাল মহল৷
আরও পড়ুন: কুড়মিদের ভাতে মারার চেষ্টা করছে মমতার সরকার, বিস্ফোরক ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষের