নয়াদিল্লি: সময় আর সুযোগ পেলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে ভোলেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রবিবারেই ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ যদি দেশবাসীর ‘মনের কথা’ শুনতেন তাহলে দেশের এই অবস্থা হত না। সোমবার ফের আরও একবার চিন প্রসঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সরকার কীভাবে চিনকে পরিচালনা করতে পারে সে সম্পর্কে অনড় রয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন যে কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপগুলিকে অগ্রাহ্য করার জন্য পড়ে সমস্যা তৈরি হবে। রাগা একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, পূর্ব লাদাখের ডোমচকে চিন ভারতের পাশেই তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে এবং দু’দেশের প্রধান কমান্ডারের মধ্যে আলোচনার কোনও তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে লিখেছেন, ” কীভাবে চিনকে সামলানো যায় সে সম্পর্কে অচেতন জিওআই। এখন তাদের পদক্ষেপগুলি উপেক্ষা করা ভবিষ্যতে বিশাল সমস্যা সৃষ্টি করবে।”
GOI is clueless on how to handle China.
Ignoring their actions now will cause huge problems in the future. pic.twitter.com/oMixHTEQuF
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 26, 2021
বলা ভালো ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত ও চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হতার পর থেকেই দুই দেশের সমস্যা চলছে। এখনও সেইভাবে মেলেনি সমাধান সূত্র। চলছে দুই দেশের মধ্যেই আলোচনা। সদ্য সূত্রে জানানো হয়েছে চুপিসারে সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধির পথেই হাঁটার কাজ শুরু করেছে ড্রাগন। জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখের ডেমচকের চারডিং নালের পাশে ভারতের জায়গার পাশেই তাঁবু তৈরি করেছে তাঁরা।
এক উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা এই তাঁবু দখলকারী লোকদের “তথাকথিত নাগরিক” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বলেছেন যে, ভারত যদিও তাদের ফিরে যেতে বলছে, তবুও সেখানে ‘তাঁদের উপস্থিতি রয়ে গিয়েছে। ডেমচকে এর আগেও দুই দেশের সেনাদের মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে ভারত-চিন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডাব্লুজি) বৈঠকে। এই তথ্য সামনে আসার পরেই ফের একবার সুর ছড়ালেন রাহুল গান্ধী। এটাই প্রথম নয় এর আগেও চিন সীমান্তে সমস্যা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।