পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ৩৫ হাজার একর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত ওড়িশা সরকারের

0
171

ভুবনেশ্বর: পুরী জগন্নাথ মন্দিরের নামে থাকা একরের পর একর জমি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ওড়িশায়৷ মঙ্গলবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান রাজ্যের আইনমন্ত্রী প্রতাপ জেনা৷ জগন্নাথ মন্দিরের নামে থাকা জমি বিক্রি করে যে বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়া যাবে তা জমা হবে মন্দিরের তহবিলে৷ সেই টাকাটা ভবিষ্যতে ব্যবহৃত হবে মন্দিরের ব্যয়ভার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে৷

জগন্নাথের মূল মন্দিরটি পুরীতে হলেও মন্দিরের নামে রাজ্য জুড়ে এবং ভিন রাজ্যে প্রচুর জমি পড়ে রয়েছে৷ আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৪টি জেলায় জগন্নাথের নামে জমি তো আছেই৷ পাশাপাশি ছ’টি রাজ্যে জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছে৷ সব মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ৮২১ একর৷ তারই অর্ধেকের বেশি বিক্রি করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷

- Advertisement -

আরও পড়ুন-মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে ১৩ বছরের ছাত্রকে বিয়ে করলেন শিক্ষিকা

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খাতে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়৷ সেই টাকাটা মন্দিরের তহবিল থেকেই মেটানো হয়৷ তহবিলে এখনও ৬৫০ কোটি টাকা রয়েছে৷ সরকারের ইচ্ছা, ২০২৩ সালের মধ্যে সেটা বাড়িয়ে ১০০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়া৷ সেই কারণে জমি বিক্রির উদ্যোগ৷

মঙ্গলবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের ২৪টি জেলায় ৬০ হাজার ৪২৬ একর জমি রয়েছে৷ আর পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে এবং বিহারে আরও ৩৯৫ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে৷ কটকের ভারতী মুটে জগন্নাথ মন্দিরের ৩১৫.৩৩৭ একর জমি এবং সেখানে তৈরি একটি ভবন বিক্রি করা হয়েছে ১১.২০ কোটি টাকায়৷ সেই টাকা জমা রয়েছে মন্দিরের অ্যাকাউন্টে৷’’

মন্দিরের পড়ে থাকা জমিতে এখন অনেকেই বসবাস বা ব্যবসা করছে৷ তারা চাইলে সেই জমি কিনে নিতে পারে৷ আইনমন্ত্রী জানান, মন্দিরের জমিতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যারা বসবাস করছে বা ব্যবসা করছে সেই সমস্ত পরিবার বা ব্যবসায়ীকে একর প্রতি এককালীন ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে৷ যারা ২০ বছর ধরে আছেন তাদের দিতে হবে ৯ লক্ষ টাকা৷ ১২ বছরের বেশি কিন্তু ২০ বছরের কম সময় হলে জমির মালিকানা পেতে মন্দির কমিটিকে দিতে হবে একর প্রতি ১৫ লক্ষ টাকা৷