আত্মহত্যা বলে চালাতে গিয়ে গ্রেফতার নার্স, উঠে এল পরকীয়ার তত্ত্ব

0
49

পুনে: মাত্র পাঁচ মাস হয়েছে বিয়ের৷ এরই মধ্যে পরকীয়া সম্পের্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্বামী৷ সাধ হয়েছে প্রেমিকাকে বিয়েও করবেন৷ কিন্তু বাধ সেধেছে বিবাহিত স্ত্রী৷ তাই স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী৷ এরপর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেয়৷ কিন্তু পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে তাঁকে খুন করা হয়েছে৷ অভিযোগে গুণধর নার্স (Nurse) স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷

ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পুনে৷ সেখানের বাসিন্দা স্বপ্নিল সবন্ত পেশায় বেসরকারি হাসপাতালের নার্স৷ পাঁচ মাসে বিয়ে হয় প্রিঙ্কার সঙ্গে৷ চলছিল সংসার৷ কিন্তু এরই মধ্যে ওই একই হাসপাতালের এক সহকর্মীর প্রেমে পড়েন স্বপ্নিল৷ দুজনে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্তও নেয়৷ তাই পথের কাঁটা স্ত্রীকে সরানোর জন্য বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলেন তিনি৷

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, ১৪ নভেম্বর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে হাসপাতালে যান স্বপ্নিল৷ সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ স্বপ্নিল দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন৷ উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও৷ যেহেতু আত্মহত্যা বলা হয়েছে তাই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়৷

রিপোর্ট আসতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ৷ জানা যায়, প্রিয়াঙ্কাকে ভেক্যুরোনিয়াম ব্রোমাইড ও নাইট্রোগ্লিসারিন নামে দুটো বিষাক্ত ইনঞ্জেকশন দেয় স্বপ্নিল৷ তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এরপর প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে নার্স স্বামী৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার৷ ধরা পড়ে পুলিশের জালে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপ্নিল যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেখানে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ভাঁড়ার থেকে ভেক্যুরোনিয়াম ব্রোমাইড ও নাইট্রোগ্লিসারিন নামে দুটি বিষাক্ত ইঞ্জেকশন চুরি করছে স্বপ্নিল৷ সেখান থেকেই আরও পরিষ্কার হয়ে যায় প্রিয়াঙ্কা আত্মহত্যা করেননি, বরং তাঁকে খুন করেছে স্বামী৷

নার্স স্বামী স্বপ্নিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পুণে পুলিশের ইন্সপেক্টর মনোজ যাদব জানান, স্বপ্নিলের সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল৷ তাই স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেছে৷ স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নার্স স্বামী স্বপ্নিলকে৷ তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷