CBI তদন্তের নির্দেশের পরই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অনিল দেশমুখ

আদালতের নির্দেশের পর নৈতিক কারণ দেখিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অনিল দেশমুখ৷

0
129

মুম্বই: অবশেষে ইস্তফা দিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)৷ সোমবার বোম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেয়৷ এর কয়েকঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন এনসিপি (NCP) নেতা৷ ইস্তফার দেওয়ার পর তিনি জানান, নৈতিক কারণেই সড়ে দাঁড়ালেন৷

অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা তোলা আদায়ের অভিযোগ এনেছিলেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিং৷ সেই অভিযোগ সামনে আসার পরই তোলপাড় পড়ে যায় মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে৷ বিজেপি অনিল দেশমুখের ইস্তফার দাবি তোলে৷ এনসিপি-র উপর চাপ বাড়ায় শরিক দল শিবসেনাও৷ তা সত্ত্বেও অনিলের পাশেই দাঁড়ান এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার৷ তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনাও খারিজ করে দেন৷ কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন টিকল না৷ আদালতের নির্দেশের পর নৈতিক কারণ দেখিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অনিল দেশমুখ৷

- Advertisement -

এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন অনিল দেশমুখ৷ চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের পর আমার পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই৷ তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিন৷’’ মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর এনসিপি স্বরাষ্ট্র দফতরের পদ পায়৷ তাই অনিল দেশমুখের পর এনসিপি নেতা দিলীপ ওয়ালসে পাটিল পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন বলে সূত্রের খবর৷

ফেব্রুয়ারি মাসে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি পাওয়া যায়৷ পরে ওই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরানী খুন হন৷ খুনের অভিযোগ ওঠে তদন্তকারী অফিসার সচিন ওয়াজের বিরুদ্ধে৷ তখন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে এনসিপি৷ অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি অভিযোগে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয় পরমবীর সিং৷

এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফোঁস করে ওঠেন তিনি৷ একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন পরমবীর৷ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ অফিসারদের দিয়ে তোলা তোলাতেন৷ বাড়িতে ১০০ কোটি টাকা তোলা তুলতে চেয়েছিলেন৷ সচিন ওয়াজেকেও ডেকে তোলা তোলার কথা বলেছিলেন৷

এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-শিবসেনা-এনসিপি জোট সরকারে নতুন করে সঙ্কট তৈরি হয়৷ যদিও শরদ পাওয়ার জোর গলায় দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে প্রমাণ আছে অনিল দেশমুখ নির্দোষ৷ যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে তিনি তখন হাসপাতালে ছিলেন৷ এত চেষ্টা সত্ত্বেও সিবিআই তদন্ত এড়াতে পারলেন না অনিল দেশমুখ৷ বম্বে হাইকোর্ট মামলার শুনানিতে জানিয়েছে, এই অভিযোগের অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত৷ অনিল দেশমুখের অধীনে স্বরাষ্ট্র দফতর৷ তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত হওয়া উচিত৷ এরপরই আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷