জোশীমঠে ভেঙে পড়ছে বাড়ি-মন্দির, বলছেন স্থানীয়রা

0
47

দেরাদুন : আসতে আসতে তলিয়ে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। বসবাসের অযোগ্য হিসাবেই ঘস্না করা হয়েছে এই এলাকাকে। শুধু তাই নয় ডুবন্ত অঞ্চল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিছুটা প্রাকৃতিক এবং সেই সঙ্গেই মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষী চাহিদাকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন গত এক সপ্তাহে যোশীমঠের একাধিক বাড়ি এবং মন্দির ধসে পড়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে ২ ও ৩ জানুয়ারি মধ্যরাতে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ শহরের সিংধরে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ে। তবে এসব ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয়নি বলেও জানান তারা। আরও জানানো হয়েছে যে, প্রথমে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং কাছাকাছি একটি মন্দিরের ফাটলগুলি প্রশস্ত হতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত ধসে পড়ে। স্থানীয় এক ব্যাক্তি হরিশ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, “এটি  ২ জানুয়ারী ঘটেছিল। আমরা যখন ঘুমাচ্ছিলাম তখন রাত আড়াইটার দিকে। দেয়ালের ফাটলগুলি খুলে যায় এবং কংক্রিটের বড় খণ্ড খসে পড়ার  সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটি শব্দ শুনতে পাই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ভয় পেয়েছিলাম এবং খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি। পরের দিন আমাদের কাছের একটি সরকারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেছেন যে, “অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে কোনো প্রাণহানি হয়নি। মনোহরবাগের কিছু হোটেলেও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Shraddha Murder Case: ময়নাতদন্তে শ্রদ্ধার শরীরের হাড় সামনে আনল বিস্ফোরক তথ্য

উল্লেখ্য, গোটা ঘটনা নজরে রাখছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী।  শুধু তাই নয় যোশী মঠ নিয়ে বৈঠকও করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই ডুবন্ত এলাকা দিকে খোদ নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিপদজনক এলাকা থেকে স্থানীয়দের উদ্ধার করা হয়েছে। রাখা হয়েছে সুরক্ষিত জায়গায়। এমনকি অসহায় মানুষদের সঙ্গে রাত্রিযাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও।