Ladakh standoff: LAC বরাবর নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করছে চিনা সেনা, লাদাখ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, ভারতীয় সেনাও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত কারণ এই অঞ্চলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী দ্বারা যা যা প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে। চিন আগ্রাসী হলে ভারতও যে ছেড়ে দেবে তা সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

0
86

লাদাখ: এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও লাদাখে সীমান্ত সমস্যা মেটেনি ভারত ও চিনের মধ্যে। এমনকি সুবিধাজনক নয় ভারত-চিনের বর্তমান সম্পর্ক, উদ্বেগ বাড়িয়ে এমনটাই কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এবার দেশবাসীর আরও চিন্তা বাড়ল ভারতীয় সেনা।
লাল ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সামরিক অবকাঠামো উন্নত করার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করে করছে বলেই জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার সময়, ভারতীয় পক্ষ পূর্ব লাদাখ সেক্টরের কাছাকাছি এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় পক্ষের উদ্বেগের বিষয় রয়েছে কারণ চিনারা নতুন হাইওয়ে এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে। সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন আবাসস্থল ও বসতি নির্মাণ করছে এবং তাদের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টসহ ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। সেনা সূত্র আরও বলছে যে, সামরিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তারা লাদাখে হাইওয়েকে প্রশস্ত করছে এবং কাশগড়, গার গুন্সা এবং হোতানে প্রধান ঘাঁটি ছাড়াও নতুন এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণ করছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Gautam Gambhir : উদ্বেগে পরিবার, তৃতীয়বার গম্ভীরকে খুনের হুমকি দিল ‘ISIS Kashmir’

এখানেই শেষ নয় চিনা বাহিনী একটি প্রধান প্রশস্ত হাইওয়ে তৈরি করছে যাতে LAC-তে চীনা সামরিক অবস্থানগুলির সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ আরও উন্নত করা যায়। সেনা সূত্র জানিয়েছে, চিনা সামরিক বাহিনী তাঁদের বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের দিকেও মনোযোগ দিয়েছে যাতে তারা আমেরিকান এবং অন্যান্য স্যাটেলাইট থেকে গভীর এলাকায় লুকিয়ে থাকা যায়। তবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত বছরের শীতের সঙ্গে তুলনা করলে, আশ্রয়কেন্দ্র, সড়ক যোগাযোগ এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রস্তুত বেজিং।

তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পিএলএ নিয়ন্ত্রিত পিছনের এলাকায় রকেট এবং মিসাইল রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর রয়েছে। শুধু তাই নয় সীমান্তে ড্রোনের মোতায়েন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে ড্রাগন। কারণ সেগুলিকে তাদের একটি বড় সংখ্যক সেক্টরে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় সীমান্তের বিপরীতে মোতায়েন করা চিনা সেনার সংখ্যা বেড়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গে সূত্রগুলি বলেছে, সীমান্ত অঞ্চলে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি মনোযোগ দিয়েছে লাল ফৌজ। তবে

আরও পড়ুন- Arrest: ফের সাফল্য, উদ্ধার তাজা কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের জালে চার কুখ্যাত দুষ্কৃতী

সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, ভারতীয় সেনাও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত কারণ এই অঞ্চলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী দ্বারা যা যা প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে। চিন আগ্রাসী হলে ভারতও যে ছেড়ে দেবে তা সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যাই হোক সীমান্ত সমস্যা যতদিন না মিটছে উদ্বেগ রয়েছে গিয়েছে।