বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার আসল পরিচয় কি, বিতর্কের দিক কোন দিকে ঘুরছে, জেনে নিন বিস্তরে

0
607

খাস খবর ডেস্ক: সম্প্রতি একটি টিভি বিতর্কের সময় নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর থেকেই ঝড়ের নজরে রয়েছেন নুপুর শর্মা। শিবলিঙ্গকে ফোয়ারা বলে অসম্মান করা হয়েছে, এই কথার প্রেক্ষিতেই হজরত মহম্মদ সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন তিনি। সেই কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে তাতেও সমস্যা কমেনি। তাঁর এই কথার প্রভাব পড়েছে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির উপরে। ভারতীয় রাষ্টদূতদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ইসলামিক দেশের খোলা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ভারতীয় পণ্য। সামগ্রিক ভাবে ভারতীয় পণ্য বয়কট করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে এই দেশগুলির তরফে।

আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দিল ভারত

- Advertisement -

কিন্তু, কে এই নুপুর শর্মা?  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ মুখপাত্র হয়ে ওঠা। দলে নিজের জায়গা করে নিতে খুব বেশি সময় লাগেনি নুপুর শর্মার। অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বিতর্কিত নূপুর। সেই সঙ্গে আইনের ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়েই রাজনীতিতে হাতেখড়ি।

নুপুর শর্মা ভারতীয় যুব মোর্চার একজন বিশিষ্ট মুখ ছিলেন। তিনি দলের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। যেমন, যুব শাখার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১৫ সালে নয়া দিল্লি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে কেজরিওয়ালের কাছে হেরে যান তিনি। এর পরে ২০১৭ সালে দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেন তিনি। ভালো কাজের ফল হিসাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে নিযুক্ত করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। যুব বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ হিসাবেও কাজ করেছেন নূপুর।

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। এমনকি প্রাথমিক সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মুখপাত্র নবীন জিন্দলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মগুরুকে নিয়ে কুমন্তব্যের জেরে শুধুমাত্র এদেশেই নয়, মুসলিম দেশগুলিতে প্রবল বিতর্কের ঝড় বইছে। সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে এক টেলিভিশন শো’তে ইসলাম ধর্মের গুরুকে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-র মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এরপরেই উত্তরপ্রদেশের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নূপুরের এহেন মন্তব্যের কারণেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকি নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একাধিক এফআইআর।

নুপুর শর্মার এই বক্তব্যের পরই  দলের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ‘বিজেপি তীব্র ভাবে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, বর্ণকে অসম্মানের বিরোধী। কোনও ধর্মকে অসম্মানেরও আদর্শবিরোধী। এই ধরনের কোনও আদর্শ বা মানুষকে বিজেপি মান্যতা দেয় না। ভারতের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে প্রত্যেক ধর্ম নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র এবং প্রস্ফুটিত। বিজেপ সব ধর্মকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে।” মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত লাগার কারণেই নুপূরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির।